টেকনাফে দুই কিশোরী নিখোঁজ, অপহরণের দাবি পরিবার ও স্থানীয়দের
টেকনাফে দুই কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ কিশোরী হলো হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার মো. নুরুল আবছারের মেয়ে মোছাম্মদ কুলসুমা (১১) ও মো. মফিজ আলমের মেয়ে মোছা. হাবিবা (১২)।।
শুক্রবারর (২৯ মে) রাত ৭ টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া বাজারের প্রধান সড়ক মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোরীরা প্রতিনিদিনের মতো বাড়ি থেকে বের হয়ে হাটাঁহাটি করে। আজ (২৯ মে) সন্ধ্যাও তেমন বের হয়েছে তারা। বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর, তারা বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবরা ও আত্বীয়স্বজনরা।
একপর্যায়ে কতিপয় প্রত্যক্ষদর্শীরা সন্ধানকারীদের জানিয়েছেন, তারা এক নারীর সাথে প্রধান সড়কের দিকে সিএনজিতে উঠে।
সম্ভাব্য স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ওই কিশোরীদের হদিস পাওয়া যায়নি।
কুলসুমা আক্তারের মা জাহানারা বেমগ মুঠোফোনে জানান, সন্ধ্যায় তারা (কুলসুমা ও হাবিবা) বাড়ির সামনের দোকানে যায়। বাড়ি না ফেরাতে খোঁজাখুজি শুরু করলে প্রত্যক্ষদর্শীরা এক নারী কিংবা দুই নারী ওই কিশোরীদের নিয়ে গেছে বলে জানান। তখন থেকে মুর্ছা যাওয়া অবস্থা ওই দুই পরিবারের।
তাদের পিতা একজন মালয়েশিয়া ও অপরজন কাতার রয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি নিখোঁজ কিশোরীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত রয়েছে।
স্থানীয় মেম্বার আব্দুল গাফ্ফার সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিশোরীদের দুইজন নারী সিএনজিযোগে কক্সবাজারের দিকে রওয়ানা করেছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন তিনি। এখনো কে বা কারা নিয়েছে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমানকে মুঠোফোনে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, কুখ্যাত রোহিঙ্গা হাকিম ডাকাত কতৃক ৬ জন কৃষককে অপহরণ ও পর্যায়ক্রমে ৩ জনকে খুনের শোক শেষ না হওয়ার আগেই দুইজন কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় আতঙ্ক ও উদ্বেগ আরো বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে।
এ দিকে প্রায় একমাস ধরে গহীণ পাহাড়ে শতাধিক পুলিশ কয়েকটি টীমে ভাগ করে হাকিম ডাকাত‘সহ ডাকাত দলের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরই প্রেক্ষিতে কয়েকদিন আগে রঙ্গিখালীতে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তিন ডাকাত নিহত হন ও প্রচুর গোলা বারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।