টেকনাফে হাত-পা বেঁধে স্ত্রীকে পাশবিক নির্যাতন
কক্সবাজার প্রতিনিধি :
টেকনাফে দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেয়ায় স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে যৌনাঙ্গে মরিচের গুড়ো ঢুকিয়ে দিয়েছে পাষান্ড স্বামী। টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার শামলাপুর বাজার এলাকায় শুক্রবার সকালে মধ্য যুগীয় নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটে।
এহেন জঘন্য ঘটনার পর নরপশু স্বামীকে হাতের কাছে পেয়েও রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দিয়েছে শামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। আরও রহস্যজনক ব্যাপার হচ্ছে- স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সচেতন মহল ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নির্যাতিত গৃহবধুর সাহায্যে এগিয়ে না এসে বরং তা ধামাচাপা দিতে তৎপর রয়েছেন।
এমনকি বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়া সত্বেও গভীর রাত পর্যন্ত মিডিয়াকর্মীদের জানতে দেওয়া হয়নি।এমনকি স্থানীয় ও অতি নিকটস্থ পুলিশ পর্যায়ে কোন ধরণের বিচার হয় নি। অন্যদিকে স্বামী পুলিশ কেন্দ্র থেকে নির্ভয়ে বেরিয়ে আসার পর গভীর রাতে মিডিয়াকর্মীদের কাছে এ সংবাদ পৌঁছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া উপজেলার কোটবাজারের ডিশ লাইনের ব্যবসায়ী বেদার স্ত্রীসহ (নাম পাওয়া যায়নি) শামলাপুর বাজারে ভাড়া বাসায় অবস্থান করে ব্যবসা চালান। শামলাপুরের এক কোম্পানীর আতত্মীয়কে নতুন করে বিয়ে করার প্রস্ততি নিলে তার বর্তমান স্ত্রী বাধা দেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে স্ত্রীকে উলঙ্গ করে হাত-পা বেঁধে যৌনাঙ্গে মরিচের গুড়ো ঢুকিয়ে দেয়। স্ত্রীর চিৎকারে নিকটস্থ ইউসুফ সওদাগরসহ স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে নির্যাতিতা গৃহবধুকে উদ্ধার করে গোসল ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
ঘটনাস্থলের অতি নিকটেই পুলিশ কেন্দ্র থাকলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।
খবর পেয়ে টেকনাফ থেকে একজন মিডিয়াকর্মী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, টেকনাফ মডেল থানার ওসি, শামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের আইসিকে অবহিত করেন।
প্রকাশ্য দিবালোকে, জনাকীর্ণ বাজারের পাশে এহেন জঘন্য ঘটনার পর নরপশু স্বামীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাশী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে।
