তাইনদঙে হামলার নেপথ্য কারণ ইউপিডিএফ- জেএসএস

1184998_503890089698440_1956904640_n

পার্বত্য নিউজ রিপোর্ট:

মাটিরাঙ্গার তাইনদঙে সাম্প্রতিক হামলার নেপথ্য কারণ ইউপিডিএফ। পাহাড়ে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এই হামলার পেছনে নেপথ্য ভূমিকা রেখেছে। বিবিসির কাছে এমন দাবী করেছে জেএসএস। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় এ মাসের শুরুর দিকে কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামে যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল, ওই ঘটনার একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। এতে বলা হয়েছে, পাহাড়ি পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করতেই পরিকল্পিতভাবে ওই হামলা করা হয়েছে। বিবিসি।

প্রতিবেদনে হামলার নেপথ্য কারণ হিসাবে শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফকেও দায়ী করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বলছে, ওই হামলায় ১১টি গ্রামের ৪৫৪টি পাহাড়ি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মুল উদ্দেশ্যই ছিল এই পরিবারগুলোর জমি দখল করা। একারণেই অনেকটা পরিকল্পিতভাবে অপহরণের নাটক সাজিয়ে হামলার পটভূমি তৈরি করা হয়।

জনসংহতি সমিতির তথ্য সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বসতিস্থাপনকারী বাঙ্গালিরা সেখানে জমি দখল করার চেষ্টা করছিলেন। তারাই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।

তবে ইউপিডিএফের একজন নেতা উঙ্গাই মারমা বলেছেন, এ ধরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং জনসংহতি সমিতি উদ্দেশ্যমুলকভাবে তাদের উপর দোষ চাপাতে চাইছে।

ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা থেকে ১৯৭৯ সালের পর থেকে যেসব বাঙ্গালি বসতি করেছেন, তাদের পাহাড় থেকে সরিয়ে দিতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকি থাকলেও, তারা হামলাকারীদের ঠেকাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেননি।

তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য এই সংগঠনগুলো কতটা সাহায্য করছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার। তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই সরকার গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার আর সহায়তায় সবরকমের ব্যবস্থা নিয়েছে। বরং যারা এসব অভিযোগ তুলছে, তারা কখনোই এই গ্রামবাসীদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।

জনসংহতি সমিতির প্রতিবেদনের অভিযোগ সম্পর্কে মাটিরাঙার একটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন, বরাবরই সেখানে পাহাড়ি বাঙালি সম্পর্ক ভালো হলেও, গুজবের কারণে এরকম হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি দাবি করছেন, গত দেড় দশকে এরকম হামলার ঘটনা সেখানে এটাই প্রথম ঘটল।

একজন মোটরসাইকেল চালককে অপহরণের গুজবে ৩রা অগাস্ট খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামে হামলা করে স্থানীয় বাঙালিরা। ফলে গ্রামগুলোর বাসিন্দারা জঙ্গলে ও সীমান্তের নো-ম্যান্‌স ল্যান্ডে আশ্রয় নেন। তবে পরে সরকারি চেষ্টায় তারা নিজেদের গ্রামে ফিরে আসেন। এ ঘটনায় এর মধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন