দারিদ্রতা থামাতে পারেনি মহেশখালীর সাজ্জাদ হোসেনকে

fec-image

দারিদ্রতার সঙ্গে সংগ্রাম করে বিজয়ী হয়েছে সাজ্জাদ হোসেন। বাকি জীবনটাও জয় করার স্বপ্ন এখন তার চোখে। দরিদ্রতা কখনও তার মেধা বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অদম্য ইচ্ছা শক্তি তার দুর্লভ সাফল্য এনে দিয়েছে। চলতি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ও গোল্ডেন পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়েছে এ অদম্য মেধাবী।

সেই উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চায়। হতে চায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, প্রকৌশলী, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। হবে কি তার আশা পূরণ? এই স্বপ্ন যেন তাদের দুঃস্বপ্ন না হয়- এটাই তার এখন চাওয়া-পাওয়া।

বলছিলাম মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের এক মেধাবীর কথা তার নাম সাজ্জাদ হোসেন , হোয়ানকের মহুরাকাটার এলাকার রংমিস্ত্রি জকির আলম ও মরিয়ম বেগমের সন্তান। এবারে অনুষ্ঠিত ২০২০ সালে এসএসসি পরিক্ষায় বড় মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুলের বিজ্ঞান শাখা থেকে অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ অর্জণ করেছে। সে এর আগেও ৫ম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে পেয়েছিল ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। এ ছাড়াও বিভিন্ন সৃজনশীল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অনেক পুরষ্কার অর্জন করেছেন সাজ্জাদ হোসেন।

সাজ্জাদ হোসেন জানান, আমাদের অভাবের সংসার। এক সময় স্বপ্ন দেখতেও ভয় পেতাম। আমার পিতা কখনো দিন-মজুর, কখনো রং মিস্ত্রীর কাজ করে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যেতো। অনেক সময় আমি প্রাইভেট পড়ার টাকা যোগাড় করতে কষ্ট হয়ে যেতো, অনেক টিচার আমাকে বিনা পয়সায় পড়িয়েছেন আমি তাদের কাছে ঋণী। আমার পিতা মাতা আমার জন্য জীবনের সবটুকু দিয়ে পরিশ্রম করেছে বলে আজ আমি এই সফলতার মুখ দেখতে পেরেছি। স্কুলের পড়াশোনার বাইরে ও বাড়িতে দৈনিক ৯ ঘন্টা পড়াশোনা করে তার এই সফলতা অর্জন করেছে বলে জানান তিনি। তিনি সামনে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য সহযোগিতা চাই সমাজের বিত্তশালীদের কাজ থেকে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন