দুই দশক পর প্রথম সাক্ষাৎকারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসিত তারেক রহমান

fec-image

দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর কোনো গণমাধ্যমে মুখোমুখি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসি বাংলায় দেওয়া দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে প্রথম পর্বে আগামী নির্বাচনে দলের কৌশল, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও তাদের নেতাকর্মীদের বিচার, বাংলাদেশের নির্বাচনকেন্দ্রীক রাজনীতিসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেন।

প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তারেক রহমান। শুধু নিজ দল নয় প্রশংসা করেন ভীন্নমতের রাজনৈতিক নেতারাও। পাশাপাশি সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষও প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তারেক রহমানকে।

বাংলাদেশ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিএইচটি রিচার্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও পার্বত্যনিউজ.কমের সম্পাদক মেহদী হাসান পলাশ সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “আজকে তারেক রহমান তার সাক্ষাৎকারে বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এ সময় তার অভিব্যক্তি এবং আবেগ থেকে বোঝা যায় আওয়ামী লীগের বিচার ইস্যুতে কতটা দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন। কেবল এই একটি বিষয় নয়, পুরো সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বিবিসির অনেক ক্রিটিকাল প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ ভাবে দিয়েছেন। ধীর, স্থির গুছিয়ে ও ঠান্ডা মাথায় দেয়া এই সাক্ষাৎকারটি প্রমাণ করে, তিনি রাজনীতিতে যেকোনো সময়ের থেকে অনেক পরিপক্ক। কোন অতিরিক্ত বা বাহুল্য কথা নেই, চাপাবাজি নেই, অতীতের কাসুন্দি নেই। অনেক জটিল প্রশ্নের একেবারে ঠিকঠাক উত্তর দিয়েছেন তিনি।

“ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারেক রহমানের এই বক্তব্যের ব্যাপক প্রশংসা ও আলোচনা দেখা যাচ্ছে। অনেকেই নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বক্তব্যের বিভিন্ন অংশ কাট করে, ফটো কার্ড করে পোস্ট করছেন মন্তব্য সহকারে। সেখানেও প্রশংসা ঝরে পড়ছে। ‌এমনকি সমালোচকদের পক্ষ থেকেও তেমন কোন সমালোচনা এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।বাংলাদেশের আজকের অন্যতম প্রধান সমস্যা, নেতৃত্ব। বাংলাদেশ পরিচালনার জন্য দক্ষ, যোগ্য ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব। সে বিচারে তারেক রহমানের বিকল্প এখন কেউ নেই।“

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া তারেক রহমানের এই সাক্ষাৎকারকে শুভ সূচনা বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি প্রশংসা করে বলেছেন, ‘সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে শব্দচয়ন করেছেন।‘

শিশির মনির আরও বলেন,’বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মধ্যে তারেক রহমান একজন। ফলে তিনি যে কথা বলবেন, যে স্পিরিট শো করবেন, সেটা জাতির জন্য শিক্ষণীয়। এটা আমার অভিমত।‘

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের প্রশংসা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, “তারেক রহমান বাংলাদেশের একজন ডিফেক্টো লিডার । যেহেতু তারেক রহমান বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাই উনার বক্তব্যকে আমরা ক্রিটিক্যালি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো। তবে পুরো সাক্ষাৎকারটি ম্যাচিউরড ছিল। প্রশ্নগুলোর স্মার্ট উত্তর দিয়েছেন। জুলাই আন্দোলনের ক্রেডিট তিনি গণতন্ত্রকামী মানুষদের দিয়েছেন। দ্রুত নির্বাচন প্রশ্নেও তিনি চমৎকারভাবে পরিমিতিবোধ দেখিয়েছেন। সত্যিকার অর্থে এটি প্রশংসনীয়।“

সংবাদ উপস্থাপক সুস্মিতা ফেরদোসী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লেখেন , “দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর তারেক রহমানের বিবিসি বাংলায় পুরো সাক্ষাৎকারটি নিঃসন্দেহ অত্যন্ত ম্যাচিউড।“

সামাজিক মাধ্যমে ইলোরা জামান নামের একজন লিখেন, “বিবিসির সাথে তারেক রহমানের ইন্টারভিউটি দেখলাম। ‘দেখে মনে হলো কোনো পোলিশড ফলসহুড নেই, অতিরঞ্জন নেই, অবাস্তব প্রমিজ নেই, কর্তৃত্ববাদী ভাষা নেই, কৃত্রিম মুখস্ত করা আরোপিত ভান বা রেটরিক নেই। বরং জেনুইন, মেথোডিক্যাল এবং একধরনের স্বচ্ছতা ও সততার ছাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। কিছু প্রশ্নের উত্তর তিনি এমনভাবে দিয়েছেন যে, এছাড়া ভালো করে বলবার মত আসলে কিছু নেই। অনেকক্ষণ চিন্তা করেও পেলাম না। যেহেতু নিরপেক্ষ থাকতে হবে তাই খুঁজবার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হতাশ হলাম।‘ নেতা হিসেবে তারেক রহমানের ভবিষ্যত উজ্জ্বল।“

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: তারেক রহমান, বিবিসি, সাক্ষাৎকার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন