দু‘টি মাদরাসায় নতুন ভবন উপহার দিলেন এমপি জাফর আলম

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির আলোকে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের দুইটি মাদরাসার জন্য ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বরাদ্দে দুইটি নতুন একাডেমিক ভবন উপহার দিয়েছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম। একই সঙ্গে ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দে খুটাখালী বাজার উন্নয়ন কাজের সুচনা করা হয়েছে।

শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুটাখালী ইউনিয়নের আলাদা তিনটি পয়েন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও বাজার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন চকরিয়া পেকুয়া আসনে এমপি ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।

নির্মাণ কাজের সুচনা করা খুটাখালী লেছুমা করিম দাখিল মাদ্রাসার ৪ তলা বিশিষ্ট এর ১ তলা একাডেমী ভবন নির্মাণে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ বরাদ্দ দিয়েছেন ৭১ লক্ষ টাকা।

অপরদিকে এমপি জাফর আলমের ডিও লেটারে ৩ কোটি ১২ লক্ষ ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবন পেয়েছে খুটাখালী তমিজিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা। অপরদিকে খুটাখালী বাজার উন্নয়ন কাজে এমপির সরকারি বরাদ্দ থেকে ১২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলনা আবদুর রহমান, খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জয়নাল আবেদিন মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর হক ছাড়াও শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, অভিভাবক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

খুটাখালী লেছুমা করিম দাখিল মাদ্রাসার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আলহাজ জাফর আলম এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাখাতের অগ্রউন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য মেধানির্ভর শিক্ষার সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করেছে। তাঁর সদিচ্ছার কারনে আজ শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ পাচ্ছে।

শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিতে সরকার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দে অবকাঠামোগত উন্নয়নে সব ধরণের কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছেন। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে নিরক্ষতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা। সেইলক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে শিক্ষার মান্নোয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যবই পাচ্ছে। লেখাপড়া করতে সব ধরণের উপবৃত্তি সুবিধা পাচ্ছে। মেধাবীদের সরকারি চাকুরী নিশ্চিত করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল প্রকল্পসহ নানা ধরণের প্রনোদনা প্রকল্প। যাতে শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধা নিয়ে সুন্দর পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে। নিজেকে আগামীর জন্য দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরী করতে পারে।

এমপি জাফর আলম আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান্নোয়ন নিশ্চিতকল্পে আগামী পাঁচ বছরে টেকসই উন্নয়নে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার সবশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাজানো হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে লেখাপড়ার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে সুনাগরিক হিসেবে তৈরী করতে হবে।

আজকের নতুন প্রজন্ম হবে আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। তাই সেইভাবে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের তৈরী করতে সবাইকে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। আশাকরি শিক্ষার্থীরা যাতে কোন ভাবে বিপদগামী না হয় সেদিকে অভিভাবক ও শিক্ষক মণ্ডলীকে সজাগ ভুমিকা পালন করতে হবে।