নরেন্দ্র মোদির স্ট্যাটাসের প্রতিবাদ জানালো কাপ্তাই জামায়াত নেতৃবৃন্দ


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া ফেইসবুক স্ট্যাটাসের সমালোচনা করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কাপ্তাই উপজেলা শাখা। মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে কাপ্তাই উপজেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে এই প্রতিবাদ জানান।
আমাদের কাপ্তাই প্রতিনিধি জানান, বিজয় দিবসে কাপ্তাই জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নুর জামাল এর সঞ্চালনায় এই আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী কাপ্তাই থানা আমীর হারুনুর রশীদ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি সফিকুল আলম, প্রজেক্ট একাডেমীর সভাপতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, ফুল বাগান ইউনিটের সভাপতি মইন উদ্দিন এবং ইসলামী ছাত্রশিবির কাপ্তাই উত্তর শাখার সেক্রেটারী রাকিবুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, ১৯৭১ সালে দেশের সাধারণ মানুষই জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বক্তাদের দাবি, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা দেশপ্রেমিক জনগণ কখনো মেনে নেবে না। দেশের সকল আপামর জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
এ সময় বক্তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসের সমালোচনা করে তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেন।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন জামায়াতে ইসলামী কাপ্তাই উপজেলা আমীর হারুনুর রশীদ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিজয় দিবসে গতবারের মতো এবারেও নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই স্ট্যাটাসে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ না করায় স্বাধীনতাপ্রেমী বাংলাদেশের সচেতন মানুষের মাঝে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ইতিহাস বিকৃতির। ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়ে তিনি তাঁর পোস্টে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে তুলে ধরেছেন। মোদি স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈনিকদের স্মরণ করি যাদের সাহস এবং আত্মত্যাগের ফলে ১৯৭১ সালে ভারত ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছিল। তাদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের মুহূর্ত স্থাপন করেছিল। এই দিনটি তাদের বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা এবং অতুলনীয় চেতনার স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের বীরত্ব ভারতীয়দের প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুপ্রাণিত করে।’

















