নাইক্ষ্যংছড়িতে অধ্যক্ষের সেলফি কান্ড নিয়ে এবার লিফলেট!

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মাদরাসার অধ্যক্ষ এর নারী কেলেংকারী সংক্রান্ত ঘটনা সংশ্লিষ্টরা ধামাচাপা দিচ্ছেন এমন অভিযোগ এনে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

প্রচারে- এলাকাবাসী লেখা লিফলেটে ইতোপূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মাদরাসা সুপার ও ছাত্রীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবিও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে একাধিক তদন্ত ও লিফলেট বিতরণের পর অভিযুক্ত ওই অধ্যক্ষের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। নিজেকে দুধে ধোয়া তুলশী পাতা বানাতে বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা দিয়ে বেড়াচ্ছেন অধ্যক্ষ ছৈয়দ হোসেন।

শিক্ষক ছাত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি প্রচার হওয়ার পরও কমিটি, শিক্ষক এবং এলাকাবাসী নীরব কেন তার প্রশ্ন তোলা হয় লিফলেটে। এছাড়াও অভিযুক্ত অধ্যক্ষের অনৈতিকভাবে উপার্জিত টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবী করা হয়।

লিফলেট প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে মদিনাতুল উলুম আলীম মাদরাসা অধ্যক্ষ মাওলানা ছৈয়দ হোসেন বলেন, লিফলেট আমার চোখে পড়েনি, কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে লিফলেট করেছে তা আমার জানা নেই।

তবে একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, মাদরাসায় বিরাজমান ক্ষোভ থেকে হয়তো কেউ লিফলেট করেছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা হয়েছে।

অন্যদিকে সেলফি কান্ডের পর মাওলানা ছৈয়দ হোসেনকে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৫ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অধ্যক্ষ-ছাত্রীর একটি ছবি ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষক, অবিভাবক ও প্রশাসন। পরে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পৃথক দুটি তদন্ত করেন।

এছাড়াও অভিযুক্ত অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ এনে দুদকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়িতে অধ্যক্ষের সেলফি, লিফলেট
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন