নায়েক আমীর হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে ঘাতক রফিক
শাহজাহান কবীর সাজু :
গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মাথায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আনসার পোস্ট কমান্ডার নায়েক মো: আমীর হোসেন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন ঘাতক মো: রফিকুল ইসলাম।
রোববার বিকাল ৩টার দিকে খাগড়াছড়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালতে তাকে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে মো: রফিকুল ইসলাম এ স্বীকারোক্তি দেন।
আনসার পোস্ট কমান্ডার আমীর হোসেন হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইউপিডিএফ’র ইন্ধন থাকতে পারে বলে উল্লেখ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদত হোসেন টিটু জানান, জেনে-শুনে একজন হত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার। পোস্ট কমান্ডার আমির হোসেন‘র ঘাতক মো: রফিকুল ইসলামের আশ্রয়দাতা প্রীতি বিকাশ চাকমাকেও আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী হেডম্যান পাড়ায় আনসার ক্যাম্পে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আনসার সদস্য রফিকুল ইসলামের গুলিতে পোস্ট কমান্ডার আমির হোসেন ঘটনাস্থলে নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঘাতক মো: রফিকুল ইসলাম অস্ত্র ও গুলি নিয়ে পালিয়ে যায়।
সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে কবাখালী আনসার ক্যাম্পের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও ৮০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। একই দিন বিকাল পৌনে ৪টার দিকে দীঘিনালা উপজেলার মনের মানুষ এলাকার চৌধুরীপাড়ায় পাহাড়ের চুক্তিবিরোধী উগ্রসাম্প্রদায়িক ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ নেতা প্রীতি বিকাশ চাকমা‘র বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মো: রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়।
এদিকে ঘাতক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী।