নিজের মেয়েকে সরিয়ে রেখে অপহরণ মামলার নাটকে ফেঁসে গেছে বাদীপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রায়’ই দেখা যায় একে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছে। কোনোটা প্রমানিত হচ্ছে, আবার কোনোটাতে ফেঁসে গিয়ে জেল-হাজত পর্যন্ত গড়াচ্ছে। আর তা বেশি ঘটছে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায়। এমনই ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার সদর উপজেলা খুরুশকুলের গুচ্ছগ্রাম এলাকায়। যেখানে নিজের মেয়েকে অনত্রে সরিয়ে রেখে অপহরণ হয়েছে বলে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আর তা প্রমানিত হয় পুলিশের তদন্তে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার সিনিয়র এএসপি বলেন, ভূয়া মামলা করে কেউ পার পাবেনা। প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের ২১ তারিখ রাতে খুরুশকুলের গুচ্ছগ্রামে নিজ দোকানে দূর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয় নুরুল আবছার (২৪)। নিহত যুবক কাউয়ার পাড়ার এলাকায় মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আরফাত প্রকাশ বাংলাইয়া, জয়নাল আবেদন ও নুর মোহাম্মদের ছেলে শামশুল আলমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে দেড় মাস আগে জামিনে ছাড়া পায় শামশুল আলম।

তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে তার বড় ভাই নুরুল আলমকে বাদী করে বেলি আক্তাকে (১৫) অপহরণ করার অভিযোগ তুলে আদালতে একটি অপহরণ মামলা করান নিহত নুরুল আবছারের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। বেলি আক্তার হলেন, মামলার বাদী নুরুল আলমের মেয়ে। এদিকে মামলার প্রক্রিয়া অনুযায়ী কক্সবাজার সদর থানার সিনিয়র এএসপি মোঃ রেজাউল করিমসহ এক এসআই মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তে জানা যায় মামলাটি ভূয়া। মূলত হত্যা মামলায় জেল ফেরত ভাই শামশুল আলমের প্ররোচনায় নুরুল আলম নিজের মেয়ে বেলি আক্তারকে আত্মীয়ের বাসায় সরিয়ে রেখে এই মিথ্যা মামলা করছে। এই মিথ্যা মামলার বিষয়টি বেলি আক্তার আদালতে বিচারকের সম্মুখে স্বীকার করেন। বেলি আক্তার বলেন, তিনি ও  তার বাবার কোন দোষ নেই। তার চাচা শামশুল আলম প্রতিপক্ষের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার বাবাকে মিথ্যা মামলা করাতে জোর করেছে।

কক্সবাজার সদর থানার সিনিয়র এএসপি মোঃ রেজাউল করিম জানান, কিছু অসাধু লোকজন মিথ্যা মামলার আশ্রয় নেয় অন্যজনকে ফাঁসানো জন্য। তা সম্পূর্ণ বেআইনী। কেউ যদি এই ধরনের করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রত্যেকটি মামলা আরো ভালভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সত্য কিনা।

এ ব্যাপারে তিনি সচেতনতার পাশাপাশি সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন। যেন কেউ মিথ্যা মামলা করে পার না পায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন