নিরাপত্তা চাঁদরে মোড়ানো দীঘিনালা
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :
পার্বত্য খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বাবুছড়া থেকে ৫১, বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন-বিজিবি‘র সদর দপ্তর প্রত্যাহার এবং সেখান থেকে উচ্ছেদ ২১ পাহাড়ী পরিবারের নিজ নিজ ভুমিতে পূর্ণবাসনের দাবীতে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ সমর্থিত দীঘিনালা ভুমি রক্ষা কমিটির পদযাত্রা কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পাহাড়ীদের সংঘর্ষের পর নিরাপত্তার চাঁদরে মোড়ানো হয়েছে পাহাড়ী জনপদ দীঘিনালাকে। বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।
গত রোববার দীঘিনালার বাবুছড়া ৫১, বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন-বিজিবি‘র সদর দপ্তর প্রত্যাহার এবং সেখান থেকে উচ্ছেদ ২১ পাহাড়ী পরিবারের নিজ নিজ ভুমিতে পূর্ণবাসনের দাবীতে পাহাড়ীদের পদযাত্রা কর্মসূচীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাঁধা দিলে পাহাড়ীরা সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর অতর্কিতে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় পাহাড়ী যুবক-যুবতীরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলতিও মারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী টিয়ার-সেল নিক্ষেপ করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। এসময় পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের চোরাগোপ্তা হামলায় খাগড়াছড়ির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মিজানুর রহমানসহ ১০ সেনা সদস্য গুরতর আহত হয়।
এ ঘটনায় ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে প্রায় আট‘শ অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিকে আসামী করে রোববার রাতেই দীঘিনালা থানায় মামলা দায়ের করেন দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোহাম্মদ ইসরাফিল মজুমদার। আসামীরা আঞ্চলিক পাহাড়ি সংগঠন ইউপিডিএফ ও তার বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলা দায়েরের পরপরই রোববার রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করে। সেনা ও পুলিশি অভিযানের পরপরই পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের অনেকেই আত্বগোপনে রয়েছে। তারা যেকোন সময় চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে দীঘিনালায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদাৎ হোসেন টিটো মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতারে সব ধরনের চেষ্ঠা চলছে উল্লেখ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি‘র টহল বাড়ানোর সাথে সাথে গুরুত্বপুর্ন বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশি চৌকি।