পেঁপে গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা!

নির্বিচারে ফলন্ত পেঁপে গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা: দুই লাখ টাকার ক্ষতিসাধন

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক হতদরিদ্র মহিলার ১০ শতক জমিতে ফলন্ত ৪০টি পেঁপে গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে অন্তত দুই লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী বাগান মালিক।

সোমবার (৩ অক্টোবর) ভোররাতে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাক্কারপাড়া এলাকায় নির্মম এ ঘটনা ঘটে।

পেঁপে বাগানের মালিক ওই এলাকার সফর মুল্লুকের স্ত্রী খোরশেদা বেগম।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী জানায়, বিএমচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাক্কারপাড়া এলাকার সফর মুল্লুকের স্ত্রী খোরশেদা বেগম বাড়ির পাশে স্বামীর পৈত্রিক ১০ শতক জমিতে বিগত ১ বছর পূর্বে বিভিন্ন ফলদ ও বনজ চারা রোপন করেন। রোপিত বাগানে প্রায় ৪০টির মতো উচ্চ ফলনশীল উন্নত জাতের পেঁপে গাছ রোপণ করে হতদরিদ্র খোরশেদা বেগম।

ওই বাগানে নানা ধরনের ক্ষেত খামার করে অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা ও পরিবারের সংসার চালিয়ে আসছে তিনি। তার বাগানের প্রত্যেকটি পেঁপে গাছে থোকায় থোকায় প্রচুর পরিমাণ পেঁপে ধরেছে। বর্তমানে বেশিরভাগ পেঁপে বাজারজাত করার উপযোগী হয়েছে। এক একটি পেঁপে গাছে একমনের অধিক ফলন ধরেছে। বাগানের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক সোমবার ভোর রাতে নির্বিচারে বাগানের ফলনকৃত ৩৫টি পেঁপে গাছ কেটে সাবাড় করেছেন। তার আগেও দুর্বৃত্তরা বাগানের চতুর পাশে ঘেরা-বেড়া কেটে নষ্ট করেছে। সর্বশেষ পেঁপে গাছ কেটে ফেলার ঘটনার বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবহিত করেছেন বলে ভুক্তভোগী খোরশেদা জানায়।

বাগানের মালিক খোরশেদা বেগম জানান, বাড়িতে আমার অসুস্থ স্বামী ছাড়া কেউ নেই। তিনি চলাফেরা করতে পারেনা। বাড়ির পাশের জমিতে পেঁপে গাছের চারা রোপন ও নানা জাতের চাষাবাদ করে কোন মতে সংসার চালায়। সোমবার ভোর রাতে কে বা কারা আমার বাগানের ফলনকৃত ৩৫টি পেঁপে গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করে। এ বাগানে ৫০ হাজার টাকা ধার-দেনা নিয়ে বিনিয়োগ করে নিজ জমিতে একটি উন্নত জাতের পেঁপেসহ বিভিন্ন ক্ষেত চাষাবাদ করেছি। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, হতদরিদ্র এক মহিলার ফলনকৃত বাগানের ৩০-৩৫টি পেঁপে গাছ নির্বিচারে কেটে বিলিন করে দেয়ার বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। তবে কারা এ ঘটনাটি করেছে তা কেউ স্বচক্ষে দেখেনি। ভুক্তভোগী মহিলাকে প্রশাসনের কাছে আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক এখনো থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্তপূর্বক দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন