মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট রাখাইনে নৃশংসতার প্রমাণ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণগুলো সংরক্ষণ করতে ইউনিয়ন-পর্যায়ের মন্ত্রী ও রাখাইন রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের দফতর জানায়, এই নির্দেশের লক্ষ্য হলো ফৌজদারি তদন্তে সহায়তা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা। কেউ প্রমাণ নিশ্চিহ্ন করে থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর ‘জাতিগত নিধন’ অভিযানের মুখে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তখন মিয়ানমার বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনে জাতিসংঘের সংস্থা।
এই বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ আরো বহু ধরনের নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্তে ২০১৮ সালে মিয়ানমার সরকার একটি কমিশন গঠন করে।
গত জানুয়ারিতে তদন্ত কমিশন রিপোর্ট দেয়। এতে মিয়ানমার বাহিনীর গণহত্যার উদ্দেশ্যকে অস্বীকার করা হলেও যুদ্ধপরাধ, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ব্যাপকভাবে দেশের আইন লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করা হয়েছে।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। মামলার প্রাথমিক রায়ে আদালত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা প্রদান এবং অপরাধের প্রমাণ বিনষ্ট করার থেকে বিরত থাকতে মিয়ানমারকে নির্দেশ দেয়।