পার্বত্যাঞ্চলের বাজেট বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিৎ: ঊষাতন তালুকদার

1435057271
স্টাফ রিপোর্টার:
বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে পার্বত্য চট্রগ্রামের জন্য বাজেট বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ঊষাতন তালুকদার।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০১৫-১৬: পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিপ্রেক্ষিত শীর্ষক বাজেটোত্তর সংলাপে তিনি মন্তব্য করেন।

এই বাজেট গরীব জনগণের জন্য নয়, ধনী শ্রেণির স্বার্থে করা হয়েছ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে, কিন্তু তাও অর্জন সম্ভব নয়।এতে বিভিন্ন এলাকায় পুষ্টিহীনতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে পশ্চাদপদতা রয়েছে।’

ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘১ জানুয়ারি যদি সংসদের ওয়েবসাইটে বাজেট সংশ্লিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়, তাহলে যারা আলোচনা করবেন, তারা বিশ্লেষণ করে নিজেদের মতামত দিতে পারবেন। গণমত নিয়ে তারা তা সংসদে উত্থাপন হতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘রাঙামাটিতে বিনিয়োগ হলে সেখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আসত। ওই এলাকায় পুষ্টিহীনতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে পশ্চাৎপদতা রয়েছে। যা বিবেচনা করে ওই এলাকার জন্য বাজেটে বরাদ্দ আরো বাড়ানো উচিত।’

বাজেট সংলাপে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, ‘বাজেটে যা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ বাজেটে বরাদ্দের বাইরেও কিছু বরাদ্ধ থাকে যা শান্তি চুক্তির সবুজ পাতার মাধ্যমে দেয়া হয়।’

সবুজ পাতার উল্লেখযোগ্য বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য এলাকার শিল্পিদের থাকার জন্য ঢাকার মন্ত্রী পাড়ায় ২ একর জামি বারাদ্দ দেয়া হবে। বাঁশ ও বেত শিল্পের উন্নয়নে বরাদ্দ দেয়া হবে। এছাড়াও ২৬০০ শত গাভী পালনের জন্য ২৫-৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে।’

পার্বত্য এলাকায় আছে মাত্র ১৬ লক্ষ মানুষ অথচ অনেক জমি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক পরিষদ জেলা পরিষদ এবং উন্নয় পরিষদ একসাথে হয়ে যদি কাজ করা যায় তাহলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব।’

পার্বত্য চট্রগ্রামের উপজাতি জাতিগোষ্ঠীর চাহিদাভিত্তিক বাজেট তৈরি হবার সুযোগ কম জানিয়ে সংলাপে ধারণাপত্র উপস্থাপন করে ড. মাহফুজ কবির বলেন, ‘উন্নয়ন বোর্ড আঞ্চলিক পরিষদ এবং জেলা পরিষদ উপজাতি জাতিগোষ্ঠীর সাথে বাজেটের আগে বৈঠক বা আলাপ করে না।’

প্রতিবছর বাজেট বক্তৃতায় সুনির্দিষ্টভাবে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ে বক্তব্য এবং বিদায়ী অর্থবছরের খরচের সার সংক্ষেপ তুলে ধরতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শান্তি চুক্তির পর সরকার ও দাতা সংস্থাগুলোর উল্লেখ যোগ্য উদ্যোগ সত্বেও পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর জীবনের মান হতাশা পর্যায়ে রয়েছে।’

সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন, উন্নয়ন সমন্বয়ের এমিরেটাস ফেলো খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ, এএমএম নাসির ‍উদ্দিন প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন