পেকুয়ায় আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি: আগষ্টে ২ আত্মহত্যাসহ খুন ৫, আহত ৪৭, মামলা ২৩

390_305823759544367_2107240149_n

এ. এম. জুবাইদ, পেকুয়া:

পেকুয়ায় আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে।নিত্যদিন সংঘর্ষ চুরি ডাকাতি ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাধারণ জনগণের মাঝে চরম উৎকন্ঠা বিরাজ করে।

গত ১ মাসে দুই গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা পিতাকে খুন করে মেয়েকে অপহরণ, ১ গৃহবধু ১ স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা ও দুই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ছাড়াও ডাকাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭ ব্যক্তি আহত হয়েছে। বিভিন্ন ঘটনার আলোকে পেকুয়া থানায় ২ টি হত্যা মামলা, ২ টি অপহরণ ১ টি ধর্ষন মামলাসহ ২৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার বিবরণ ও তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত আগষ্ট মাসে পেকুয়ার সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ছিল অস্থিতিশীল ও আতংক জনক। গত ৫ আগষ্ট উপজেলার মগনামা ও উজানটিয়ায় পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। ৬ আগষ্ট উজানটিয়ায় প্রবাসীর বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় জনগন ৪ ডাকাতকে আটক করে পেকুয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেও রহস্য জনক কারণে থানায় ডাকাতির মামলা রজু করা হয়নি। ১০ আগষ্ট রাজাখালী ইউনিয়নের মাতবর পাড়া গ্রামের ওমান প্রবাসী ওসমান গনির স্ত্রী ছালেহা বেগম আত্মহত্যা করে একই দিন বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালীর সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সায়মা সোলতানা আত্ম হত্যা করে।

১২ আগষ্ট সদর ইউনিয়নের নন্দীর পাড়ায় জমি দখল বেদখকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের ৬ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে একই দিন টইটং ধনিয়াকাটা স্টেশনে স্থানীয় মেম্বার মধ্যপ অবস্থায় এক ব্যবসায়ীকে আহত করে। ১৩ আগস্ট রাজাখালীর বামুলা পাড়ার আলী আযম যৌতুক না পেয়ে নিজের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী পারভিন আকতারকে হত্যা করলেও প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে মামলা মোকাদ্দমা পর্যন্ত করতে পারেনি। স্থানীয় চেয়ারম্যান জোরপূর্বক নিহত পারভিনের পিতা পক্ষ থেকে জোর পূর্বক নন জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে পরদিন মৃতদেহটি দাফন করে ফেলার অভিযোগ করে নিহত পারভিনের ভাই সোলাইমান বাদশা। একই দিন টইটং ও শীলখালীতে পৃথক ঘটনায় ৭ জন গুরুতর আহত হয়।

১৪ আগষ্ট শীলখালী ইউনিয়নের জারুল বনিয়া এলাকায় জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে দুপক্ষের ৪ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। ১৫ আগষ্ট টইটং সোনাইছড়ি আবদুল্লাহ পাড়ায় রবিউল আলম তার স্ত্রী হামিদা বেগমকে পিঠিয়ে হত্যা করে যা পেকুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ২১ আগষ্ট পেকুয়া উপজেলার শুরুর পর থেকে সব চেয়ে ভয়বহ হত্যাকান্ডটি ঘটে সদর ইউনিয়নের গোয়াখালীর বটতলীয়া পাড়ার মেম্বার গোলাম চোবাহানের ছেলে যুগলীগ নেতা নুরুল আজিম একই এলাকার ইয়ার মোহাম্মদের বাড়ীতে হানা দিয়ে ইয়ার মোহাম্মদকে হত্যা করে তার বিবাহিতা মেয়ে রুজিনাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

২৩ আগষ্ট পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সরকারী ঘোনা এলাকায় জমি দখল বেদখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায ১১ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। ২৪ আগষ্ট পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লাহ ঘোনা এলাকায় সৌদি প্রবাসী পরিবারের ৪ মহিলা সহ ৬ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। সাধারণ লোকজন সহ স্বচেতন মহল মনে করেন বর্তমানে পেকুয়ার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। এই ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন