পেকুয়ায় বিদ্যুতের পরিস্থিতি চরম ভয়াবহ॥ জনজীবন বিপর্যপ্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়ায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেড়িং  চরম আকার ধারণ করছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে বর্তমানে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বিদুৎ পাচ্ছে না পেকুয়ার গ্রাহকরা। টানা বিদ্যুৎ থাকে না এটি যে এখন এক ধরণের রীতিতে পরিণত হয়ে গেছে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পেকুয়াবাসীর জনজীবন। এতে করে পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে পেকুয়াবাসী ফুঁসে উঠেছে এবং গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

গ্রাহকরা এ প্রতিনিধি কে জানান, কিছুদিন পূর্বে বিদুৎ সরবরাহ মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও বর্তমানে আবারো বিদ্যুৎ বিভাগের পুরোনো চিত্র ফুটে উঠেছে। তারা আরো জানান, পুরো দিনে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না পেকুয়ায়। সারা দিন বিদুৎ থাকে না, সন্ধ্যার সময়ও থাকে না। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফলে চরম দূভোর্গ পোহাতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বিপাকে পড়ছেন এইচ এস সি পরীক্ষার্থীরাও।

এদিকে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে তাদের কার্যক্রম চালাতে বিদ্যুতের কারণে চরমভাবে বিপাকে পড়ছে। কারণ তাদের কাগজপত্র নথিপত্র ফটোকপি আদানপ্রদান করতে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে জেনারেটারের মাধ্যমে ফটোকপি করে কাজ সারতে হয়। এতে অর্থের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন প্রায় সময় অফিস সময়ে বিদ্যুৎ থাকে না। এদিকে টানা বিদুৎ না থাকার কারণে ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে হেভেন টেইলার্সর মালিক লিটন বিশ্বাস, সানমুনের মালিক মনু, দানেশীয়া ফটোষ্ট্যষ্ট এন্ড কম্পিউটার সেন্টারের মালিক মাইন উদ্দিন, আরিফ, হামিদ, মাওলানা কম্পিউটার এন্ড ফটোষ্ট্যষ্ট হেলাল, নুরজাহান কম্পিউটার এন্ড ফটোষ্ট্যষ্টর মালিক রেজাউল, ছিদ্দিকী কম্পিউটার এন্ড ফটোষ্ট্যষ্ট সেন্টারের মালিক ফরহাদ, সাহাদাত কম্পিউটার ও ফটোষ্ট্যষ্ট এন্ড ছাপাখানার মালিক সাহাদাত জানান, টানা বিদুৎ থাকার কারণে আমাদের ব্যবসায় চরম ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। বিদুৎর কারণে সারাদিন বসে থাকতে হয়। আবার কারো বেশি প্রয়োজন হলে জেনেরেটর চালু করে কাজ করতে হয়। বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও লোডশেডিং কমাতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তার আংশিক প্রভাব পড়ে নি পেকুয়ায়।  এসব বিষয় নিয়ে জানতে পেকুয়া পল্লী বিদ্যুৎর অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ কফিল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রন করা হয় কক্সবাজার অফিস থেকে তাই এ ব্যাপারে আমার করার কিছু নেই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন