প্রত্যাবাসন আটকাতে অপরাধ করছে রোহিঙ্গাদের একাংশ

fec-image

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মারামারি, হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত হচ্ছে। এমনকি ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটছে। আর এসব কর্মকাণ্ড ইচ্ছাকৃতভাবে করা হচ্ছে বলে দাবি রোহিঙ্গাদের একটি অংশের। তারা বলছেন, নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া আটকাতেই এসব করা হচ্ছে।

গত সোমবার (২২ মার্চ) উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়। ওই অগ্নিকাণ্ডকে পরিকল্পিত বলে দাবি করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ রোহিঙ্গারা।

অসমর্থিত সেই রোহিঙ্গা সূত্র মতে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রাণ রক্ষায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেন প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা। ২০১৭ সালের এ রোহিঙ্গা আগমনের পূর্বে নব্বই দশকের শুরু থেকে নানা কারণে আরও প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। নতুন-পুরাতন মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে উখিয়া-টেকনাফের প্রায় ১০ হাজার একর পাহাড়ি জমিতে ৩৪টি ক্যাম্প করে একত্রে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আশ্রয় কেন্দ্র গড়া হয়। রোহিঙ্গাদের উপর ঘটা চরম অমানবিক এ ঘটনার জন্য সারাবিশ্ব মিয়ানমারকে ধিক্কার দেয়ার পাশাপাশি নানাভাবে সমালোচনা শুরু করে। এরপর থেকে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে আসছে মিয়ানমার জান্তারা।

সূত্রের দাবি, মিয়ানমার সামরিক জান্তারা কৌশলে ক্যাম্পে থাকা লোকজনকে হাত করে মারামারি, হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করায়। রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধকর্ম নিয়ে মিয়ানমারের অর্থায়নে কিছু গণমাধ্যমকর্মী দ্রুত প্রতিবেদন তৈরি করে প্রচার করে। এসব প্রতিবেদন আবার সংগ্রহ করে মজুদ করছে মিয়ানমার সেনারা।

সূত্র: জাগোনিউজ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন