Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

প্রশাসনের নির্দেশ মানছেনা এলসিটি কুতুবদিয়া

বিশেষ প্রতিনিধি:

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ এলসিটি কুতুবদিয়া নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আরোপিত নিয়ম কোনভাবেই মানছেনা। এই জাহাজ পর্যটক সেবার পরিবর্তে পর্যটকদের উপর চালাচ্ছে গলাকাটা বাণিজ্য। জাহাজের প্রতিনিধি এবং দালালের হাতে প্রায় সময় পর্যটকরা প্রতারিত হয়ে আসছে বলে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।

পর্যটকবাহী দূরপাল্লার বাস, প্রাইভেটকার দমদমিয়া নামক স্থানে পৌঁছার পর ঐসব দালালের খপ্পরে পড়ছে ভ্রমণ পিপাসুরা। জাহাজে বুকিং নিতে গিয়ে অনেক সময় পর্যটকরা দালালের হাতে টানা হেচড়ার শিকার হচ্ছেন। এখানে প্রশাসন এবং কোস্টগার্ড বাহিনীর মনিটরিং থাকার পরও অতিরিক্ত পর্যটক যাত্রী প্রতিনিয়তই জাহাজে বহন করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে প্রশাসন কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো ঠেকাতে পারছেনা। জরিমানা আদায়কে মামুলি ব্যাপার হিসেবে ধরে নিয়ে তারা এ যাত্রা অব্যহত রেখেছে।

সর্বশেষ ২ মার্চ শুক্রবার এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজ প্রায় ১২০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন যাত্রা করেছে। অথচ এই জাহাজের ধারনক্ষমতা ও অনুমতি আছে ২৫০ জনের। সেই আইন তারা কোন কিছুইতে মানছেনা। তাদের জাহাজে সংশ্লিষ্ট প্রশানের কেউ গেলে তাদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে। এভাবে চলছে লক্করঝঁক্কর এ জাহাজ।

আগত পর্যটকরা অভিযোগ করেছেন, এলসিটি কুতুবদিয়া নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে দমদমিয়া জাহাজ জেটি ঘাটে। টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে যে কয়টি জাহাজ চলাচল করছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বাজে জাহাজ। ঢাকা ও কক্সবাজার থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বুকিং নিয়ে টেকনাফস্থ দমদমিয়া জেটিতে আসার পর পর্যটকেরা নানা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়। টাকা দিয়েও অনেক পর্যটক সিট না পেয়ে পুরো আড়াই ঘণ্টার পথ দাঁড়িয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছে যাচ্ছে।

এদিকে জাহাজে নিয়োজিত প্রতিনিধি বা দালালেরা পর্যটকদের কাছ থেকে টিকেটের ডিসকাউন্টের নামে জাহাজের মালিকের অগোচরে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এরই ফলে জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহণ একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে তাদের জেটি ঘাটে স্থাপিত গাড়ি পার্কিং এবং জেটি পারাপারের নামে পর্যটকদের কাছ থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও এক শ্রেণীর প্রভাবশালী মহল। ওইসব টাকা রাঘব বোয়ালের পকেটেই চলে যাচ্ছে। সুবিধা হাসিল করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী। সরকার পর্যটন বিকাশের উদ্যোগ নিলেও এ উদ্যোগ এখানে কিঞ্চিত পরিমাণ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ফলে পর্যটকেরা বাঁধ্য হয়ে বেসরকারি খাতের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

শুক্রবার(২মার্চ) সকালে ও বিকেলে সরেজমিন দমদমিয়া জাহাজ ঘাট এলাকা পরিদর্শন করে জানা গেছে, সব জাহাজ প্রশাসনের নিয়ম মানলেও এলসিটি কুতুবদিয়া সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। এই দৃশ্য দেখে সংবাদকর্মী ছাড়াও সচেতন মহল হতভম্ব হয়ে পড়ে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন