প্রাকৃতিক বন উজাড়ের ফলে বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির পথে : বৃষ কেতু চাকমা

fec-image

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, অপরিকল্পিত জুম চাষের ফলে প্রাকৃতিক বন উজাড় হচ্ছে। ফলে বন্যপ্রাণীও প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই জুম কাটার সময় ছড়া অথবা ঝিরির আশেপাশে কম করে হলেও ২০ থেকে ৩০ মিটার বন সংরক্ষণ ও সুরক্ষিত রাখা এবং এলাকাভিত্তিক সামাজিক বনায়ন সৃষ্টি করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবং স্থানীয় এনজিও হিল ফ্লাওয়ার এর উদ্যোগে ”জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে পার্বত্য এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়ন” বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অনাবৃষ্টি ও খরার প্রাদুর্ভাবের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পানিসম্পদ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে শুকনো মৌসুমে খরার সময় পাহাড় শুকিয়ে যাওয়ার ফলে আবাদি জমি অনাবাদিতে পরিণত হচ্ছে। পানিজনিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছে।

এছাড়াও কৃষি জমিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার, পাহাড়ের গাছপালা কেটে ফেলা ও সমতল জমিতে তামাক চাষ, ঝিরি অথবা ছড়া থেকে পাথর উত্তোলন, পরিবেশ বান্ধব নয় এমন গাছ লাগানো ইত্যাদির কারণে ধীরে ধীরে পাহাড়ে পানির প্রাপ্যতা কমে যাচ্ছে।

এসময় স্থানীয় এনজিও হিল ফ্লাওয়ার এর নির্বাহী পরিচালক নিলু কুমার তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসীন, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পবন কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী অধ্যাপক ড. নিখিল চাকমা প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বৃষ কেতু চাকমা, রাঙ্গামাটি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন