বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলিতে আরো ৩ বিজিবি সদস্য নিখোঁজ

মর্টার, রকেট লঞ্চারের মতো ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী: নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছে সীমান্তবাসী

Bandarban pic-28.5.2014

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অপহৃত নায়েব সুবেদার মিজানের লাশ ফেরত নিতে অপেক্ষমান বিজিবির কর্মকর্তা ও জওয়ানদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিবর্ষণ করে। এসময় বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করে। ফলে উভয় পক্ষের পাল্টা গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আরো তিনজন বিজিবি সদস্য নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে নিখোঁজের ব্যাপারে বিজিবির কোন কর্মকর্তারা স্বীকার করেননি।

 

নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে দুই বিজিবির সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন, ল্যান্স নায়েক বাতেন ও সিপাহী জাহাঙ্গীর। সীমান্তের ৫২নং পিলারে তারা নিখোঁজ হন।

শুক্রবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত এ গোলাগুলি চলে। গোলাগুলির সময় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৬০ মিলিমিটার মর্টার, রকেট লাঞ্চারসহ অত্যাধুনিক  ও ভারী অস্ত্র-শস্ত্র ব্যবহার করেছে।

এদিকে গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের আশপাশে বসবাসকারীরা নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছে।

বিজিবি সূত্র জানায়, গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ পক্ষের সীমান্তের এপারে বিপুল সংখ্যক বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমদ আলী, কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল খন্দকার ফরিদ হোসেন এবং নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল শফিকুর রহমান সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

এদিকে সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতিতে সীমান্তের আশপাশে বসবাসকারীরা উৎকন্ঠিত হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ জানান, শুক্রবার বিকেলের পর থেকে অধিকাংশ মানুষ এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন। জিরো মাইল এলাকায় বিজিবি কারফিউ জারী করেছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মে সকালে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের এপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ির আগা পাড়ায় বিজিবি সদস্যরা টহল দেওয়ার সময় মায়ানমার বর্ডার পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে পাইনছড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়। পরে বিজিপি সদস্যরা তাকে তুলে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যায়। শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে গত ১০ দিনে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির ওপর ৩য় দফা হামলার ঘটনা ঘটল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন