বান্দরবানের মেয়রসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
বান্দরবান পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী মোহাম্মদ ইসলাম বেবীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
গ্রেফতারী পরোয়ানা প্রাপ্ত বাকী ৩ জন হচ্ছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী ও পৌর মেয়রের আপন ছোট ভাই নাছির উদ্দিন, পৌর যুবলীগের (২নং) সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়রের একান্ত সহকারী আশুতোষ দে ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা শেখ ফরিদ উদ্দিন।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বান্দরবান জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানাযায়, ২০২১ সালে বনানী সমিল এলাকায় অবৈধভাবে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ এনে জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, মাহাবুর রহমান, নাছির উদ্দিন, আশুতোষ দে, শেখ ফরিদ উদ্দিন, মো. মিলনসহ মোট ৭ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন রেহেনা আক্তার। তদন্ত শেষে মামলায় এ চারজনের সম্পৃক্ততা পেয়ে আদালত এ আদেশ দেয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবি কাজী মাহতুল হোসাইন যত্ন বলেন, বনানী সমিল এলাকায় নারী নির্যাতন, বেআইনীভাবে ঘরবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৮ জুন মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, মাহাবুর রহমান, নাছির উদ্দিন, আশুতোষ দে, শেখ ফরিদ উদ্দিন, মো. মিলনসহ মোট ৭ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বনানী সমিল এলাকার রেহেনা আক্তার মামলা করেন। পরবর্তীতে আদালত অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেন বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শককে। তদন্ত শেষে এ চারজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা দেন।
মামলার বাদী রেহেনা বেগম বলেন, আমাদের ভাই বোনদের বাবা মৃত্যুর আগে যার যার অংশ ভাগ করে দেন। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী ও পৌর মেয়র ইসলাম বেবী তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে জায়গাটি ক্রয়সূত্রে তিনি মালিক দাবি করে দখলের চেষ্টা চালায়। তখন আমি কোন উপায় না পেয়ে মামলা করি।
তবে গ্রেফতারী পরোয়ানা সম্পর্কে কিছুই জানেননা বলে জানান পৌর মেয়রের একান্ত সহকারী আশুতোষ দে। তিনি জানান রেহেনা আক্তার নামের এক নারী ২০২১ সালে একটি মামলা করেছিলেন।