বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও যুব সমিতির জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার:
পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির ৪র্থ জেলা সম্মেলন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির ১ম সম্মেলন করা হয়েছে। সম্মেলনে ওয়াইচিংপ্রু মারমাকে সভানেত্রী, ভাগ্যলতা তঞ্চঙ্গ্যাকে সাধারণ সম্পাদক এবং রেংএংময় বম সাংগঠনিক সম্পাদিকা করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে মংস্তু মারমাকে সভাপতি, মংএচিং মারমা জিকো কে সাধারণ সম্পাদক এবং সাইংথোয়াই মারমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির বান্দরবান জেলা শাখা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার স্থানীয় রাজার মাঠে মংস্তু মারমার সভাপতিত্বে সমাবেশ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গুণেন্দু বিকাশ চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার সভানেত্রী ওয়াইচিংপ্রু মারমা, জনসংহতি সমিতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শ্রী জলিমং মারমা, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট বিধায়ক চাকমা, জেলা শাখার সভাপতি উছোমং মারমা, সহ-সভাপতি ও রুমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা জুয়েল চাকমা ও সসুজয় চাকমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা রাজনৈতিক সমস্যা, তা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করে এ সমস্যা সমাধান করতে হবে। ১৯ বছরে শান্তি চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অসহযোগ আন্দোলন দিন দিন আরো তীব্র হতে তীব্রতর হবে। প্রয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অচল করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করা হয়। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখল বন্ধ, সকল অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার, সংশোধিত জেলা পরিষদ আইন-২০১৪ বাতিল করে চুক্তি অনুযায়ী জেলা পরিষদসমূহে নির্বাচন প্রদান এবং অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়।