বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়কে বাস চলছে আগের ভাড়ায়
জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধিতে বান্দরবানের অভ্যন্তরীণ সড়কে পরিবহন ভাড়া বাড়লেও আগের ভাড়াতেই চলছে বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়কের বাস। চট্টগ্রাম বান্দরবান সড়কে চলাচলকারী বাস মালিক সমিতির মধ্যে এখনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বাস ভাড়া বাড়েনি বলে জানিয়েছেন বাস মালিক কর্তৃপক্ষ। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাড়া বাড়ানো হবে বলে জানান তারা। এদিকে অভ্যন্তরীন সড়কগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
সাধারণ জনগণ জানায়, শুধু গাড়ি ভাড়াই নয়, এর প্রভাব পড়বে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর উপরও। আর এতে করে তাদের বেতনের টাকা দিয়ে সংসার চালাতে আগের চেয়ে বেশি হিমশিম খেতে হবে।
মালিক সমিতির মতে, বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়কের বাস ভাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে। সবার সাথে বৈঠক করে অল্প সময়ের মধ্যে নতুন ভাড়া নির্ধারন করা হবে বলে জানান বান্দরবান চট্টগ্রাম বাস মালিক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বান্দরবান রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, চন্দ্রঘোনা, রাঙ্গামাটি মোটর মালিক সমিতির কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ইতিমধ্যে অভ্যন্তরীন সড়গুলোতে বাড়ানো হয়েছে বাস ভাড়া। বান্দরবান থেকে রুমা ১১০ টাকার পরিবর্তে ১৩০, সদর ঘাট ১০০ টাকার পরিবর্তে ১২০, কৈক্ষ্যংঝিড়ি ৮০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা, মুরুং বাজার ৭০ টাকার পরিবর্তে ৯০ টাকা ও বেতছড়া ৭০ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকা। বান্দরবান থেকে থানচিতে ২০০ টাকার পরিবর্তে ২৩০ টাকা ও বলিবাজার ১৬০ টাকার পরিবর্তে ১৮০ টাকা, বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি ৫০ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকা , বান্দরবান থেকে রাঙ্গামাটি ১৩০ টাকার পরিবর্তে ১৫০ টাকা, মানিক ছড়ি ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৪০ টাকা, ঘাগড়া ১২০ টাকার পরিবর্তে ১৩০, বড়ইছড়ি ১০০ টাকার পরিবর্তে ১১০ টাকা, লিচুবাগান ৯০টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা, বাঙ্গাল হালিয়া ৫৫ টাকার পরিবর্তে ৬৫ টাকা, ১০মাইল ৫০ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকা, উদাল বনিয়া ৪৫ টাকার পরিবর্তে ৫৫টাকা ও ব্রীজঘাটায় ৪০ টাকার পরিবর্তে ৫০টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বান্দরবান ঢাকার দুর পাল্লার গাড়ীতে ভাড়া ৬২০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা ও আলীকদম থেকে ৮৫০ টাকার পরিবর্তে ৯৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
বান্দরবান রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, চন্দ্রঘোনা, রাঙ্গামাটি মোটর মালিক সমিতির সেক্রেটারি নুরুল আলম জানায়, সারাদেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই গাড়ীর দাম বৃদ্ধি করতে হয়েছে। পাহাড়ি এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে যতটা সম্ভব ভাড়া নাগালের মধ্যে রাখা হয়েছে।
এদিকে বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়কে চলাচল করা পূরবী পূর্বানীর ভাড়া এখানো স্থিতিশিল আছে বলে জানিয়েছে বান্দরবান পূরবী চেয়ারকোচ কাউন্টার ম্যানেজার মো. হাসান। তিনি বলেন, আমরা এখনো আগের ভাড়া নিয়েই টিকিট দিচ্ছি। এখনো মালিক সমিতি নতুন ভাড়া নির্ধারন করেনি।
এ ব্যাপারে বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়কে চলাচলকারী পূরবী চেয়ারকোচ মালিক কাজল কান্তি দাশ জানান, আমরা এখনো বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়কে বাস ভাড়া বাড়াইনি। ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে এখানো আমাদের মধ্যে কোন সিদ্ধান্তও হয়নি।