বিদ্যুতের মিটারে আগুন, গর্জনিয়া বাজারের ৩শ দোকান অল্পের জন্যে রক্ষা
বিদ্যুতের মিটারের আগুন থেকে রামুর ঐতিহ্যবাহী গর্জনিয়া বাজারের ৩ শ দোকান অল্পের জন্যে রক্ষা পেল। রোববার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টায় হঠাৎ বাজারের কালিবাড়ি সংলগ্ন মার্কেটের মনছুরের দোকানের বিদ্যুতের মিটারে আগুন লাগার পর শতশত লোক এসে আগুন নেভানোর পর বিষয়টি এভাবেই প্রতিয়মান হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মনিরুল আলম মনির জানান, তিনি বাজারে
সামাজিক এক বিষয় নিয়ে বৈঠকে ছিলেন। এ সময় দখল মার্কেটের দিকে আগুন আগুন শব্দে আওয়াজ শুনে তিনি দলবলসহ ঘটনাস্থালে গিয়ে দেখে আরো লোকজন জড়ো হয়। তারা সহ সবাই আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক পর্যায়ে। এ সময় তাদের সাথে সম্মিলিতভাবে ব্যবসায়ীরা গ্যাসের সিলিন্ডার নিয়ে এগিয়ে এসে গ্যাসের স্প্রে করলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরো জানায়, যদি আগুন মাত্র ২ মিনিট সময় পেতো তা হলে পুরো বাজার ছড়িয়ে যেতো। অন্তত ৩ শত দোকান-পাট পুড়ে ছাই হয়ে যেতো। বাজার পরিচালনা কমিটির নেতা মৌলানা আলী আকবর জানান, গর্জনিয়া বাজারের বিপদ এখনও কেটে যায় নি। বার বার আগুন লাগছে বিদ্যুত থেকেই। গতকালের বিষয়টিও অনুরূপ ঘটনা। বাজার পাহারাদার বদরুজ্জামান না হলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তো। সেই প্রথম ঘটনাটি মনছুরকে জানায়। আর মনছুর নিজে এসে দরজা ভাঙ্গে।
উল্লেখ্য, একই ব্যবসায়ীর চালের দোকানেও আগুন লাগে শুক্রবার সন্ধ্যায়। ২ দিনে মাথায় রোববার রাতে লাগে বিষের দোকানে। আর গত দেড় মাস আগে এ বাজার বৈদ্যুতিক আগুনে ২ ব্যবসায়ী-কর্মচারী পুড়ে কংকালসহ ৩ দোকান ভষ্মিভূত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আগুন লাগে জামশেদের ফার্মেসীতে। তাও বিদ্যুতের কারণে। এর কয়েকদিন পর পার্শ্ববতী দৌছড়িতে আগুনে পুড়ে ছাই হয় এক শিশু।
অনেক ব্যবসায়ী মতে, গর্জনিয়া বাজার, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুতের প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ নিজস্ব লোক না থাকায় স্থানীয় কাঁচা হাতের লোকজন এ সব অপরেটিং করার কারণে এ দূর্ঘটনা ঘটে আসছে। আরো ঘটবে। যে বিষয়টি প্রশাসনকে এখনই আমলে আনা দরকার। নচেৎ আরো বেশী কিছু ঘটনা আশংকা রয়েছে বলে তারা মনে করেন।