ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৩৫ রানে হার বাংলাদেশের

fec-image

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৫৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি টাইগাররা। এতে ৩৫ রানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে।

২৩ রানে ৩ উইকেট কারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ দল। এরপর খানিক চেষ্টা করেছিলেন সাকিব আল হাসান আর আফিফ হোসেন। কিন্তু লাভ হয়নি।

চতুর্থ উইকেটে দুইজনের পার্টনারশিপ থেকে আসে ৪৪ বলে ৫৫ রান। আফিফ ২৭ বলে ৩৪ রানে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ৬ ওভারে জয়ের জন্য যখন ১০০ রান প্রয়োজন, তখন ১৩ বলে ৭ রানের ‘টেস্ট’ ইনিংস খেল আউট হন নুরুল হাসান সোহান। সাকিব অবশ্য একপ্রান্তে ধরে রাখেন, তবে সতীর্থদের যাতায়াতের মিছিলে প্রয়োজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি।

সাকিব অবশ্য পরে ফিফটির দেখা পেয়েছেন, তবে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ৪৫ বলে পাওয়া সেই অর্ধশতক একেবারেই মূল্যহীন। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে তিনি যখন হাতে খুলে ব্যাটিং শুরু করেন, তার বেশ আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে সফরকারীরা। সাকিবের ৫টি চার আর ৩টি ছয়ে ৫১ বলে ৬৭ রানের ইনিংসটি হারের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু।

সঙ্গে মোসাদ্দেকের ১১ বলে ১৫ রানের সুবাদে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানে থামে বাংলাদেশ দলের ইনিংস। এতে ৩৫ রানে পরাজয় বরণ করতে হয় মাহমুদউল্লাহর দলকে। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।

এর আগে ডোমিনিকায় টস জিতে ব্যাট করতে নামে উইন্ডিজ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়রা নিজেদের স্কোর বোর্ডে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।

ডোমিনিকায় স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য ভালো হতে দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথম ৫ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে প্রতিপক্ষে ২ উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হয় বোলাররা। যার প্রথন সাফল্য আসে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই।

অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান নিজের প্রথম বলে কাইল মায়ার্সের কাছে চার হজম করেন। পরের তিন বল কোনো রান নিতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। পঞ্চম বলেই বোল্ড হন মায়ার্স। তিনি ৯ বলে ১৭ রান করেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আসে দ্বিতীয় সাফল্য। সাকিব আল হাসানের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন শামরাহ ব্রুকস। শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ। শূন্য রানে ফেরেন ব্রুকস।

২৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওপেনার ব্র‍্যান্ডন কিংকে সঙ্গী করে অধিনায়ক নিকোলাস পুরাণ দলের হাল ধরেন। ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তুলে টাইগার বোলারদের শাসন করে দুইজন। দলীয় সংগ্রহ বাড়িয়ে দুইজনই ছুটছিলেন অর্ধশতকের দিকে। তবে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে হাত ঘোরাতে এসে দলকে ব্রেক-থ্রু এনেন দেন একাদশে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন। ইনিংসের ১৩তম ওভারে কোনো রান না দিয়েই পুরাণকে ফেরান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ৩৫ রানে হার, বাংলাদেশ, ব্যাটিং ব্যর্থতা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন