ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে পাকিস্তানের কঠোর জবাব

fec-image

জাতিসংঘে ভারতবিরোধী তীব্র পাল্টা জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে ‘পুনর্ব্যবহৃত বিকৃত স্ক্রিপ্ট’ উপস্থাপন করছে নয়াদিল্লি। জাতিসংঘের চতুর্থ কমিটির উপনিবেশবিরোধী বিষয়ক বৈঠকে পাকিস্তানের স্থায়ী মিশনের কূটনীতিক আসিফ খান বলেন, কাশ্মীরের বাস্তব দখল ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সত্য আড়াল করতে ভারতের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি ভারতের প্রতিনিধির বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্যের জবাব দিতে বাধ্য হয়েছি। প্রতি বছর ভারত এই সম্মানিত ফোরামে বিকৃত তথ্যসমৃদ্ধ একই স্ক্রিপ্ট নিয়ে আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, জাতিসংঘের শুধু অধিকারই নয়, দায়িত্বও রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করার। কারণ ওই অঞ্চল কখনোই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল না; এটি এখনো একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিতর্কিত ভূখণ্ড। এর চূড়ান্ত অবস্থান জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি মুক্ত ও নিরপেক্ষ গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়ার কথা। আসিফ খান স্মরণ করিয়ে দেন, ভারত নিজেই এই ইস্যুটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের আওতায় দেয়া প্রতিশ্রুতি মানতে অস্বীকার করছে।

তিনি ১৯৬০ সালের ঘোষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যেসব জাতি বিদেশি দখলের অধীনে আছে, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে- যা জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক চুক্তিতেও সুরক্ষিত। আসিফ খান বলেন, দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত বিশ্বের অন্যতম ঘন সামরিক দখল বজায় রেখেছে- প্রায় ৯ লাখ সেনা মোতায়েন রয়েছে নিরস্ত্র বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেন, ভারত কাশ্মীরি জনগণের ন্যায়সংগত সংগ্রামকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে অভিহিত করছে। অথচ দখলকৃত ভূখণ্ডে গণপ্রতিরোধের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে আত্মসমালোচনা করছে না। আসিফ খান আরও বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থেকে ভারতের সরে আসা, কাশ্মীরি জনগণের মৌলিক অধিকার অস্বীকার, বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম, গণগ্রেফতার, যৌন সহিংসতা ও জনসংখ্যা ইঞ্জিনিয়ারিং- এসবই স্থানীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল কারণ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান, ভারত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন