ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পাহাড়ে স্থায়ীভাবে শান্তি আসবে না- রাশেদ খান মেনন

মেনন

স্টাফ রিপোর্টার :

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে পার্বতবাসীদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।

তিনি আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘প্রমোটিং মাউন্টেইন প্রোডাক্ট ফর বেটার লাইভলীহুড’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। বাসস

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম ত্রিপুরার সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উসৈ শিং ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক চৌধুরী, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, যেকোন জাতি-গোষ্ঠীর সমস্যা সমাধান করতে হলে রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে, সামরিক বা অন্য কোন পন্থায় নয়। এই উপলব্দি থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন। কিন্তু সরকারের আন্তরিকতা সত্ত্বেও ভূমি বিরোধসহ বেশকিছু বিষয়ে এখনো চুড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়ায় শান্তি চুক্তির সফলতা এখনো পার্বত্যবাসীসহ দেশের মানুষ পাচ্ছে না। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পাহাড়ে স্থায়ীভাবে শান্তি আসবে না।

মন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে তাদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী পরিচিত করার মধ্য দিয়ে তাদের দারিদ্র দূরীকরণ ও সুষম জীবন বিকাশে শান্তির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে মন্ত্রী রাজধানীর বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে তিন দিনব্যাপী পর্বত মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, পার্বত্য সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকার উদ্যোগী ভূমিকা পাল করছে। আগামী পর্যটন বর্ষে এই অঞ্চলের শিল্প, সংস্কৃতি ও জীব বৈচিত্রকে সংরক্ষণে সাধারণ মানুষকে আরো সচেতন করে তোলার পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বীর বাহাদুর উসৈ শিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে এবং ঢাকা শহরে এই মেলা করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, দু’একটি বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। সারা বিশ্বেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, এটাকে বড় করে দেখার সুযোগ নেই।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের জন্য ৪৬টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা মঞ্চে পার্বত্য অঞ্চলের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে বলে মেলার আয়োজকরা জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন