আবারো মর্টার শেল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঘুমধুম সীমান্ত
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে দীর্ঘ ১৬ দিন বন্ধের পর আবারো ৪টি মর্টার শেলের গোলায় কেঁপে উঠলো তুমব্রু বাজার ও আশপাশের ১৩টি গ্রাম। এই গোলার শব্দে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ শূন্যরেখায় বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় হঠাৎ সীমান্ত পিলার ৩৪ সংলগ্ন মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট বিজিপি ক্যাম্প হতে পর পর ৪টি মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ঘুমধুম বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের সেনা ও বিদ্রোহী গ্রুপের মাঝে চলমান দীর্ঘদিন যাবত সংঘর্ষের অংশ হিসেবে ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত পিলার ৪১, ৪০, ৩৯, ৩৮, ৩৭ , ৩৬ , ৩৫ , ৩৪ ও ৩১ এলাকায় প্রচুর পরিমাণ ভারী অস্ত্র, মর্টার শেল ও সামরিক হেলিকপ্টার/ফাইটার বিমান হতে বৃষ্টির মত গোলা বর্ষণ করেছে। তবে গত ১৬ দিন যাবত সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল।
ব্যবসায়ী আবদুল কাদের ও গ্রাম পুলিশ আবদু জাব্বার জানান, প্রায় ১৬ দিন পর রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় হঠাৎ সীমান্ত পিলার ৩৪ সংলগ্ন মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট বিজিপি ক্যাম্প হতে পর পর ৪টি মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দে ঘুমধুম ইউনিয়ন এর তুমব্রু ও বাইশ ফাঁড়ী এলাকা ১৩টি গ্রাম ভূমিকম্পের ন্যায় কেঁপে উঠে। যার ফলে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশের লোকজনের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, হঠাৎ মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছি। তিনি আরও জানান, মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌসকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌসের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মর্টার শেলের বিস্ফোরণের শব্দের কথা শুনেছেন। সীমান্তে বসবাসরত সকলকে নিরাপদে চলাফেরা করার জন্য চেয়ারম্যানকে বলে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
৩৪ বিজিবির একটি সূত্র জানান, তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি কঠোর অবস্থান রয়েছে। তাদের টহলদলের সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও টহল জেরদার করা হয়েছে। যেন কোন নতুন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ না করে। সীমান্ত যেন রক্ষিত থাকে।