মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি সড়ক মেরামত করলো সেনাবাহিনী
ভেঙে পড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পার্বত্য খাগড়াছড়ির জনগুরুত্বপূর্ণ মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি সড়কটি মেরামতে এগিয়ে এসেছে সেনাবাহিনী। গুইমারা রিজিয়নের “রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন সপ্তাহ” কর্মসূচির আওতায় গেল সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) থেকে শ্রমিক দিয়ে খানা-খন্দকে পরিপূর্ণ রাস্তাটি মাটি ভরাট করে মেরামত শুরু করেছে সিন্দুকছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা।
দীর্ঘদিন যাবত জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বিভিন্ন অংশে ইট-কঙ্কর উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সবধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঝে মধ্যে দু’একটি চাঁদের গাড়ি ও মোটর সাইকেল চলাচল করে আসছে সড়কটি দিয়ে। এসব যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে।
অন্যদিকে সড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত ফসল পায়ে হেঁটে কাঁধে ও মাথায় করে স্থানীয় বাজারে আনতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় কৃষকদের। আর স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের তো ভোগান্তির যেন শেষ নেই। তাদেরকে দুর্গম এলাকা থেকে দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে স্কুলে আসতে হয়। অনেক সময় স্কুলে পৌঁছানোর আগেই শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। অন্যদিকে অফিসগামী লোকদের মহালছড়ি উপজেলায় যেতে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা মোটর সাইকেল ভাড়া গুণতে হয়। যা দারিদ্রতার কষাঘাতে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য একেবারেই অসম্ভব।
মহালছড়ি-সিন্ধুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কের জনগণের সার্বিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে জনস্বার্থে গুইমারা রিজিয়নের “রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন সপ্তাহ” কর্মসূচির আওতায় এ সড়কটি মেরামত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে বলে পার্বত্যনিউজকে নিশ্চিত করেন সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে: কর্নেল রাব্বি আহসান, পিএসসি।
সরকার এ রাস্তাটি পুরোপুরি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য কিছু সময় লাগতে পারে তাই সেনাবাহিনী ধুমনিঘাট পর্যন্ত বড় বড় গর্ত আর খানা-খন্দকগুলো মাটি ভরাট করে সড়কটি সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে।
যেকোন দুর্যোগেই সেনাবাহিনী এলাকার মানুষের পাশে দাড়িয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় সাংবাদিক মিল্টন চাকমা বলেন, যান চলাচল অনুপোযোগী এ সড়কটি মেরামতের মাধ্যমে সেনাবাহিনী এ এলাকার মানুষকে আবারো তাদের কৃতজ্ঞতায় বেধে ফেললো। স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগের ফলে এলাকার জনসাধারণ কিছুটা হলেও যাতায়াত সুবিধা ভোগ করবে বলে জানান।