মহেশখালীর পানচাষি কাদের হত্যা মামলার মূল ঘাতক আব্বাস ডাকাত গ্রেফতার
মহেশখালী প্রতিনিধি:
২১জানুয়ারি সন্ধ্যায় পারিবারিক জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে আপন চাচাতো ২ ভাই কে বাড়ির কাছে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে আব্বাস ডাকাত গংরা।
গত ২২ জানুয়ারি ভোর ৪.৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাদিন অবস্থায় আব্দুল কাদের এর মৃত্যু হয়।
নিহত আব্দুল কাদের এর বড় চাচা মো. ইউনুচ প্রকাশ বাদশা পাহাড়ি সম্পত্তি এককভাবে ভোগ দখলে নিতে বিগত ১৬/১৭বছর পূর্বে তার আপন ভাই হারুন প্রকাশ কালাবাসিকে শশুর বাড়ির লোক দিয়ে গরু ঘাস খাওয়ার অজুহাত দিয়ে পাহাড়ের ধানি জমিতে দিন দুপুরে গুলি করে হত্যা করে। সে ঘটনায় বাদশা ছোট মমহেশখালীর বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষকে আসামি করে তাদের বিভিন্ন পাহাড়ি জমি দখল করে। বাদশার শশুর বাড়ি বড় মহেশখালীর দেবাঙ্গপাড়ায়। বাদশার ছেলে আরিফ আব্বাস শাপলাপুর সড়কের গাড়ি ডাকাতি ও পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত মাহামদুল করিমের প্রকাশ মাথকরির সেকেন্ড ইন্ড কমান্ড বলে এলাকায় পরিচিত, করিরের ব্যবহার করা বন্দুকটি আব্বাস ডাকাতের হাতে রয়েছে বলে জনসূত্রে প্রকাশ।
মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষচন্দ্র ধর, ওসি তদন্ত একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী, মহেশখালী থানায় আব্দুল কাদের হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাএস আই নুরুন্নবী ঘটনার পর থেকে ঘাতকদের গ্রেফতার করতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়েছে।
আসামিদের ধরতে পুলিশ গোপনে দ্রুততার সাথে মহেশখালী থেকে গভীর রাতে সাগর পাড়ি দিয়ে সুদুর কক্সবাজারের পি.এম.খালীর গোপন পাহাড়ি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বুধবার(৩০ জানুয়ারি) রাত আড়াইটায় আব্বাস ডাকাত (২৮) ও তার পিতা বাদশা ৫০ কে আটক করে পুলিশ। দুইজনে পানচাষি হত্যার মুল ঘাতক।
ছোট মহেশখালীর আলোচিত হত্যা মামলার ১.নং আসামি ইউনুস বাদশা(৫৫) হত্যাকাণ্ডের মূল ঘাতক, গ্যাং লিডার ২নং আসামি আরিফ আব্বাসকে (২৮) গ্রেফতার করে।
এদিকে এই দুই আসামিকে আটক করায় মহেশখালী থানার সকল অফিসার, পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নিহত আব্দুল কাদের এর শোকাহত পরিবার ও এলাকাবাসী।