মাটিরাঙ্গায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

fec-image

বিনম্র শ্রদ্ধা আর যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটিকে সামনে রেখে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে কণ্ঠে কণ্ঠে বেজে উঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি… আমি কি ভুলিতে পারি…’।

একুশের প্রথম প্রহরে মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব। এরপরপরই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কোরশেদ আলম, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলী ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

দলীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সামাজিক, সংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা অডিটোরিয়ামে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেবের সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্য্য তুলে ধরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম।

আলোচনা সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ ফারাজানা আক্তার ববি, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী, খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি। ভাষা আন্দোলনের জন্য রক্ত দিয়ে যারা রক্তের অক্ষরে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছিল তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

সভাপতির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে অর্জন করেছিল মহান স্বাধীনতা। তাছাড়া ভাষার জন্য আন্দোলন ও আত্মত্যাগ ইতিহাসে বিরল ঘটনা। তিনি বলেন, বিশ্বের সপ্তম জনপ্রিয় ভাষা বাংলা, যে ভাষায় প্রায় ৩০ কোটির বেশি মানুষ কথা বলে।

এসময় মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মো. মোহতাছিম বিল্লাহ্, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ আশরাফ উদ্দিন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এসএম রুবাইয়াত তানিমসহ বিভাগীয় কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন