মাদক বিরোধী প্রচারণাসহ প্রবেশনের শর্ত পালন করতে হবে আসামিকে
বান্দরবানে মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্থ হলেও কারাগারে যেতে হয়নি এক নারীকে। সাজার পরিবর্তে আদালত ব্যতিক্রমী আদেশ দিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ তিন স্থানে ৯দিন মাদক বিরোধী প্রচারণাসহ বেশ কয়েকটি শর্ত পূরর্ণ করতে হবে দোষী ব্যক্তি গোলাচিং মার্মাকে। সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিয়ে এমন ব্যতিক্রমী আদেশটি দিয়েছেন বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু হানিফ।
গত ৯দিন ধরে আদালতের নির্দেশিত প্রবেশনের শর্তের ভিত্তিতে মাদক বিরোধী ব্যানার নিয়ে জেলা জজ আদালত, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে মাদক বিরোধী প্রচারণায় অংশ নেন গোলাচিং মারমা।
বৃহস্পতিবার (১১ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবান পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ‘‘মাদক সমাজকে ধ্বংস করে। মাদক উৎপাদন, সেবন, রক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ ইত্যাদি দণ্ডণীয় অপরাধ। আসুন মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি’’ এই ধরনের মাদক বিরোধী শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে সকাল থেকে অবস্থান করছিলেন গোলাচিং মারমা।
এসময় কথা হলে তিনি এই পার্বত্যনিউজকে জানান, আদালতের নির্দেশিত আদেশ মতে তিনি মাদক বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছেন। আগামীতে তিনি কখনো মাদক গ্রহণ, পরিবহণ ও বিপনন করবে না। এছাড়া অন্যান্য শর্তও তিনি যথাযথভাবে পালন করবেন।
এই প্রসঙ্গে কথা হলে আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান বলেন, প্রবেশনের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এধরনের আদেশ আগেও হয়েছে। তবে গোলাচিং মারমার ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালত ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছেন। এমন রায়ে নিশ্চয় দোষী ব্যক্তি সংশোধন হবেন প্রত্যাশা আইনজীবীর।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সনের ১৮ নভেম্বর বান্দরবান জেলা সদরের রেইসা থলি পাড়া এলাকার মম সেন এর স্ত্রী গোলাচিং মার্মাকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ২২(গ) ও ২০ ধারা, বিনা লাইসেন্সে মাদকদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি সাজ সরঞ্জাম নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধ এবং ৩০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান।