মালয়েশিয়ার বন্দিশিবির থেকে পালানোর সময় গাড়ির ধাক্কায় ৬ রোহিঙ্গা নিহত

fec-image

মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন আটককেন্দ্র থেকে পালানোর পর মহাসড়ক পার হতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় ৬ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। বুধবার (২০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোরের দিকে জাউয়ির কাছে নর্থ-সাউথ এক্সপ্রেসওয়েতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দ্য সান ডেইলি।

পুলিশ বলছে, সুঙ্গি বাকাপ ইমিগ্রেশন আটককেন্দ্র থেকে পালানো ৫২৮ রোহিঙ্গার মধ্যে ওই ছয়জন গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা পড়েন।

ভোর ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে মৃত্যু হওয়া এই ছয়জনের মধ্যে দুই পুরুষ ও দুই নারী ছাড়াও দুটি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন পেনাংয়ের পুলিশপ্রধান মোহাম্মদ সুহাইলি মোহাম্মদ জাইন। “এদের দুর্ঘটনায় মারা যেতে দেখে আরও ২২৯ রোহিঙ্গা তাদের পরিণতিও একই হতে পারে এমন ভয় থেকে মহাসড়কটি পার হওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখেন।

“ইমিগ্রেশন আটককেন্দ্র থেকে পালানোর পর কোথায় যাবেন, তা জানা না থাকায় তারা পরে মহাসড়কের এক পাশ ধরে হাঁটতে থাকেন,” সাংবাদিকদের বলেন সুহাইলি। রোহিঙ্গাদের দলটিকে দেখতে পেয়ে সাধারণ জনগণ পুলিশকে সতর্ক করলে এই ২২৯ জনই ধরা পড়েন।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, সুঙ্গি বাকাপ ইমিগ্রেশন আটককেন্দ্র থেকে ভোরের আগে সাড়ে ৪টার দিকে ৫২৮ রোহিঙ্গা পালিয়ে যান। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এদের ধরতে অভিযানে নামে, জানিয়েছেন সুহাইলি।

“ওই কেন্দ্রে ৬৬৪ রোহিঙ্গা ছিলেন, তার মধ্যে ৫২৮ জন পালিয়ে যান। আমরা ওই মহাসড়কের পাশ থেকে ২২৯ জনকে ফের আটক করি। এর আগে গ্রামবাসী ও ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মীরা আটককেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকা থেকে আরও ৮৮ জনকে ধরেছিল,” বলেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বাকি ২০৫ জনকে ধরতেও অভিযান চলছে; এদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুও আছে এবং দলটি পেনাংয়েই আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে, বলেছেন সুহাইলি।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের কাছে বা বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা রোহিঙ্গাদের কাছে মালয়েশিয়া একটি পছন্দীয় গন্তব্য। তবে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদাকে স্বীকৃতি দেয় না মালয়েশিয়া।

২০২০ সাল থেকে দেশটিতে যাওয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জনাকীর্ণ বন্দিশিবিরগুলোতে আটকে রাখছে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ। যদিও দেশটির দাবি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই রোহিঙ্গাদের বন্দিশিবিরগুলোতে আটকে রাখা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন