মিয়ানমারের দু’বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে সড়কের কাজ বন্ধ

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত ঘেষা আরকান রাজ্যের সীমান্ত চৌকি দখলে নিতে গিয়ে আরসা ও আরএসও’সহ ৪ বিদ্রোহীর উপর্যপুরি হামলার প্রেক্ষিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত ১টি চোরাই হাট ১ সপ্তাহ বন্ধ করে দিযেছে অপর শক্তিময় বিদ্রোহী আরকান আর্মি। যার কারনে বন্ধ করা হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত সড়কের কাজ।

শনিবার ( ৪ অক্টোবর) থেকে এ হাট বন্ধ করেন তারা। একই কারণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশ সরকারের নির্মানাধিন সীমান্ত সড়কের নির্মানকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদেরও কাজ বন্ধ করে দেন ঠিকাদার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাজ থেকে ফিরে আসা শ্রমিক আবদুর রশিদ ও মো:কালু। তবে এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ঠিকাদার।

শ্রমিকরা বলেন,তারা দীর্ঘ ১ বছর ধরে এ সড়কে কাজ করেন। এ সময় মাঝে মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তে অংশে তারা প্রতিনিয়ত গোলাগুলির শব্দ শুনেন। প্রথমে গোলাগুলির শব্দে আতংকিত হলেও পরে শয়ে যান। কিন্ত গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সীমান্তে সংঘর্ষ প্রকট। মিয়ানমারের আরকান রাজ্যের আরকান আর্মি বনাম আরসা’সহ ৫ বিদ্রোহীর মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে গেরিলা যুদ্ধের মতো। মর্টারশেল,রকেট লাঞ্চার ও একে-৪৭ রাইফেলের মতো ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির কারনে সীমান্ত সড়কে আসার ভয় কাজ করছে তাদের মধ্যে।

শ্রমিকরা আরো জানান, এমতাবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে সীমান্ত ঘেষা মিয়ানমার অংশে বিদ্রোহী আরকান আর্মির সাথে অপর ৪ বিদ্রোহী স্বশস্ত্র গোষ্ঠী  আরসা,আরএসও,এআরএ এবং আরআইএম ব্যাপক হামলা চালিয়ে ২ টি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি আরকান আর্মি’র কাছ থেকে কেড়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। যাদের নেতৃত্বে রয়েছে আরসা বাহিনী। তারা আরকান আর্মির চাইতে আরো ভয়ংকর। এ কারণে আরকান আর্মি তাদের হারানো ২ টি ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে ব্যাপক হামলা শুরু করে।

জামছড়ি গ্রামের গ্রাম পুলিশ জুবাইরুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে মিয়ানমার বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ তীব্রতর হওয়ায় সীমান্ত সড়কে কাজ সাময়িক বন্ধ করে দেয় ঠিকাদাররা। তাই তারা কাজ থেকে ফেরৎ এসেছে।

উল্লেখ্য: সীমান্ত সড়কের কাজটি দেখবাল করেন কক্সবাজার সেনা বাহিনীর সড়ক উন্নয়নে নিয়োজিত ১৭ ইসি। তাদের অধিনে বহিরাগত ঠিকাদাররা এ সড়কের কাজ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আরকান আর্মি, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন