মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে বয়কট করার আহ্বান
রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমর্থনকারী মানবাধিকার সংগঠনগুলো মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের গণহত্যা সংক্রান্ত গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানি শুরু হয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মুসলিমদের সমর্থনকারী মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ আহ্বান জানায়।
মিয়ানমারের বর্তমান রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি রবিবার নেদারল্যান্ডসে পৌঁছেছেন। রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা ইস্যুতে নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। এই মামলার শুনানিতে অংশ নেবেন সু চি। সু চি-র অফিস কর্তৃক আমস্টারডামের শিফল বিমানবন্দরে তার আগমনের একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারপরে তিনি হেগের দিকে রওনা হয়েছেন যেখানে বিশ্ব আদালত অবস্থিত। ডাচ শহরে আগামী দিনে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি দলের পাশাপাশি সরকার সমর্থকরা বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে। পশ্চিম আফ্রিকার ক্ষুদ্র মুসলিম দেশ গাম্বিয়া। দেশটি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই মামলায় বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর গণহত্যাকে মারাত্মক আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারের দমনপীড়নের কারণে ২০১৭ সালে ৭৩০০০০ এরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছিল। জাতিসংঘ বলেছে, মিয়ানমারের অভিযানটি ‘গণহত্যা অভিপ্রায়’ দিয়ে চালানো হয়েছিল। এতে গণহত্যা এবং ধর্ষণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। মামলার এই শুনানি চলবে তিনদিন। এই শুনানির সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচার বিভাগের ইউএন বিচারপতিদের ১৬ সদস্যের প্যানেলকে মামলাটি পুরোপুরি শুনানির আগে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য ‘অস্থায়ী ব্যবস্থা’ চাপিয়ে দিতে বলবে।
এদিকে, ‘ফ্রি রোহিঙ্গা জোট’ নামের একটি সংগঠন বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ১০টি দেশের ৩০টি সংগঠনকে নিয়ে ‘বয়কট মিয়ানমা’র অভিযান’ শুরু করছে। কর্পোরেশন, বিদেশী বিনিয়োগকারী, পেশাদার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনকে মিয়ানমা’রের সাথে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক স’ম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমা’রের অং সান সুচি এবং সাম’রিক বাহিনীর জোট সরকারকে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক চাপে রাখাই এই বয়কটের প্রধান উদ্দেশ্য।