মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংসের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: জেলা প্রশাসক

fec-image

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের কোন স্মৃতিচিহ্নই শত ষড়যন্ত্র করেও ধ্বংস করা যাবে না।

১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতিচিহ্নসহ বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে ফেলার অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত রামগড়ের শতবছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক এসডিও বাংলোটি আমাদের গর্বের স্থান। ১৯৭১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক প্রয়াত এইচ টি ইমাম এ এসডিও বাংলোতে অবস্থান করে মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রমসহ স্বাধীন বাংলা সরকারের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। খাগড়াছড়ির জেলার কোথাও এমন ঐতিহাসিক স্থাপনা নেই। তাই প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রাখতে জেলা প্রশাসন ঐতিহাসিক স্থাপনাটি সংরক্ষণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।

সোমবার (২৯ নভেম্বর)  রামগড়ে শতবর্ষী এসডিও বাংলো প্রাঙ্গণে আধুনিক মানের শিশুবিনোদন কেন্দ্র ‘শিশু কানন’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমর কারবারি, রামগড় পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম কামাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার ফরুক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাছিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন ।

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, ঐতিহাসিক এ নির্দশন দেখতে আসা পর্যটক ও স্থানীয় দর্শণার্থীদের বাড়তি বিনোদনের জন্য প্রাচীন এসডিও বাংলো চত্বরে আধুনিকমানের দৃস্টিনন্দন শিশু বিনোদন কেন্দ্র ‘শিশু কানন’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এর কাজ শুরু হবে । জেলা প্রশাসক এ শিশু পার্ক নির্মাণে পূর্বে ঘোষিত ১২ লাখ টাকা ছাড়াও আরও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জেলা প্রশাসককে নিয়ে লেখা তার একটি সরচিত কবিতা আবৃতি করেন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে তিনি ‘শিশু কানন’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভিত্তিপ্রস্তর উপলক্ষ্যে এসডিও বাংলো প্রাঙ্গণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক-সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন বিভাগের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস উপজেলার দুর্গম এলাকা বালুখালিতে একটি হাইস্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত রামগড় গণ পাঠাগার পুন:চালুর উদ্বোধন করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জেলা প্রশাসক, মুক্তিযুদ্ধ, রামগড়
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন