মেম্বার জেলে থাকায় উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উখিয়ার পালংখালী ৭নং ওয়ার্ড

fec-image

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা আজ উন্নয়ন ও নানান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

পালংখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৃহবধূ সেলিনা আকতার (২৫),বুলবুল আকতার(২৮), রাশেদা বেগম (২৮),মনোয়ারা বেগম (৩০), নুর নাহার (৩৪), হাছিনা বেগম(৩৫)সহ আরো অনেকে জানান,  তাদের ইউপি সদস্য নুরুল হক মেম্বার একটি মামলায় জেলে থাকায় বিভিন্ন দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে তারা। সে না থাকার কারনে তারা জন্মনিবন্ধন, চেয়ারম্যার সনদ, মৃত্যুর সনদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মূখীন হচ্ছে।

তারা আরো জানান, তাদের ওয়ার্ডে আগে কখনো চুরি, ডাকাতি হয়নি। এখন প্রতিনিয়ত চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গত সপ্তাহে টমটম গ্যারেজ থেকে লক্ষাধিক মালামাল চুরি হয়েছে তারা অভিযোগ করেন।

৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছৈয়দ হোসেন (৩৪),।হাফেজ মোহাম্মদ নুর (৪৪),আব্দুসালাম (৫০) জানান, রোহিঙ্গার কারনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ তাদের ওয়ার্ডের মানুষ। কিন্তু মেম্বারের অনুপস্থিতির কারনে তারা সব দিক দিয়ে অবহেলিত।

তারা বলেন, মেম্বার জেলে থাকার কারনে তারা আজ অভিভাবকহীন হয়ে।পড়েছে। আগের যেভাবে সরকারি-বেসরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পেত এখন তা পাচ্ছেনা। অন্যান্য ওয়ার্ডে যেভাবে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, স্কুল, মাদ্রাসা, বাড়ী-ঘরের উন্নয়ন হচ্ছে এই ওয়ার্ডে তার বিন্দুমাত্রও হচ্ছেনা। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার লোকজন এসে মেম্বার খোঁজে, না পেয়ে তারা অন্য ওয়ার্ডে চলে যায়।

পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীর নিকট থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হকসহ বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য জেলে রয়েছে। যার কারনে সরকারি-বেসরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে ওইসব ওয়ার্ডের লোকজন বঞ্চিত হচ্ছে।

এছাড়াও স্থানীয় ভাবে বিচার-সালিশ সম্পন্ন না হওয়ায় লোকজনকে থানা এবং আদালতে স্বরণাপণ্য হতে হচ্ছে। এতে আর্থিক এবং মানষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মানুষ। শত চেষ্টা করেও মানুষের এসব অভাব পুরণ করা তাহার পক্ষে একা সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উখিয়া, ব্রীজ-কালভার্ট, মেম্বার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন