যে কোন মূল্যে খাগড়াছড়িকে অপরাধমুক্ত করা হবে: মাসব্যাপী অভিযান শেষে পুলিশ সুপার মজিদ আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাগড়াছড়িতে মাসব্যাপী পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত, মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবী,চাঁদাবাজ ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ বিভিন্ন অপরাধে ৭৪ জনকে আটক হয়েছে। এ সময় ৮৩ পিস ইয়াবা, ১১ কেজি গাঁজা, ২০ গ্রাম হেরোইন ও ৩২ লিটার চোরাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের এ বিশেষ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে সর্বমহল।
খাগড়াছড়ি সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগষ্ট থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করে। অভিযান চলাকালে অর্থ প্রতারণা মামলায় দেড় বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মো: তাজুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির মাদক সম্রাট সাইফুল ইসলাম ওরফে ইয়াবা জুয়েল, লাল সালাম বাহিনীর
চাঁদাবাজ চক্রের মানিক দে ও খালেদ মো: নঈমসহ তিন সদস্য, পাঁচ কেজি গাঁজাসহ মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্য বাসের সুপাভাইজার মো: আজাদসহ ৭৪ জন আসামীকে আটক করা হয়। এছাড়া মাদক সেবনের অভিযোগে চারজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেওয়া হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো: আব্দুল জানান জানান, আটককৃতদের মধ্যে ১২টি মাদক মামলায় ১৪ জন, ওয়ারেন্টের ৩৯ জন ও অন্যান্য মামলায় ৯ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া মাদক সেবনের অভিযোগে চারজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদন্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরো ১২ জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলীর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহউদ্দিন, সিনিয়র সহাকারী পুলিশ সুপার মো: রইছ উদ্দিন ও তার নেতৃত্বে সদর থানার ওসি তদন্ত সৈয়দ মাসুদ আলম, এসআই সামসুল আরেফিন, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, থিথংকর দাশ, সাজেদুল ইসলাম, সুনীল চন্দ্র সূত্রধর, বিবেকানন্দ দেবনাথ, এএসআই জায়েদ ভূইয়া, সেলিম হোসেন, মাইনুউদ্দিন ও রিয়াজুল হক এ সব অভিযানে নেতৃত্ব দেন। মাঝে মঝে পুলিশ সুপার নিজেও সাথে থেকে অভিযান চালিয়েছেন।।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী জানান, যে কোন মূল্যে খাগড়াছড়িকে অপরাধমুক্ত করা হবে। সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক আইনের আওতায় আনতে হবে। সে কোন রাজনৈতিক দলের, কার সাথে চলে, কার সাথে উঠেবসে এটা বিবেচনা করার সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, দাগী সন্ত্রাসীরা কারাগারে থাকবে, অন্যথায় ওসিরা চেয়ারে থাকার যোগ্যতা হারাবে। এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি যে কোন মূল্যে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদকে প্রতিহত করার ঘোষনা দেন।
খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতির সম্পাদক প্রভাষক তথ্য কর্মকর্তা মো: রাশেদুল হক বলেন, সম্প্রতিকালে পুরো খাগড়াছড়ি শহরে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদকাসক্তদের উপদ্রব আশংকাজনকভাবে বেড়েছিল। পুলিশের বিশেষ অভিযানে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তিনি এ অভিযান অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।
খাগড়াছড়ি শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল বলেন, পুলিশের অভিযানে কারণে শহরে চুরি, ছিনতাই ও মাদকাক্তদের উপদ্রব অনেক কমে এসেছে।