রাঙামাটিতে নির্মিত হচ্ছে লাভ পয়েন্ট

Rangamati Pic-16-01-16-01 (1)

স্টাফ রিপোর্টার:

২০১৪ সালে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিতে ডুবে নিহত দম্পতির শেষ সমাধী স্থানে নির্মিত হচ্ছে লাভ পয়েন্ট।

শনিবার সকাল ১০টায় শহরের ডিসি বাংলো এলাকায় পুলিশ পলওয়ে পার্কে এ লাভ পয়েন্টের অনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসু জামান, রাঙামাটি অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফা জামান, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাঈদ তরিকুল হাসান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সংসদীয় কমিটির সদস্য মো. শাহাজাহান মোল্লা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন চৌধূরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ। তখন বিকাল ৩টা । রৌদ্র উজ্জল আকাঁশে শুরু হয় হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড় । কিন্তু তাঁর একটু আগেই রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের টুরিস্ট বোট নিয়ে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে নৌ-ভ্রমণে বের হয় আমেরিকা প্রবাসী আলাউদ্দিন পাটোয়ারী (৩২) ও তাঁর স্ত্রী আইরীন সুলতানা লিমা (২৮)। কিছু দূর না যেতেই পড়ে কাল বৈশাখী ঝড়ের কবলে। তীব্র বাতাসে পানিতে তলিয়ে যায় ওই দম্পতির টুরিস্ট বোটটি। কিন্তু তীব্র ঝড়ের মধ্যে একে অপরকে ছেড়ে যায়নি তারা। পানিতে তলিয়ে গিয়েও ছিল এক সঙ্গে। তাঁর প্রমাণ হয় ঠিক দু’দিন পর। পানিতে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দু’দিন পর তাদের মৃতদেহ ভেসে উঠে রাঙামাটি ডিসি বাংলো এলাকার পলওয়ে পার্কের কাপ্তাই হ্রদে। ছিল দু’জন দু’জনকে আলিঙ্গন করে। কিন্তু ছেলেটা সাতাঁর জানলেও ছেড়ে আসেনি তার জীবন সঙ্গীনিকে।

Capture

একে বারে দু’জন এক সঙ্গে চলে গেছে না ফেরার দেশে। তাদের এ অমর প্রেম অভাগ করে দেয় রাঙামাটিসহ পুরো দেশবাসীকে। তাদের এ অমৃত্যু ভালবাসার প্রমাণ দেখে সেদিন কিউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। আলিঙ্গন করা ওই দম্পতির মৃতদেহের ছবি ও খবর প্রচার হয় বিভিন্ন মিডিয়ায়। ব্যাপক সারা জাগায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও। শুরু হয় আলোচনা-পর্যালোচনা।

তাই সরকারি উদ্যোগে এবং পর্যটন টুরিজিয়ামের অংশ হিসিবে জেলা পরিষদের অর্থয়ানে তাদের স্মৃতি ও ভালবাসার সাক্ষি হিসেবে রাঙামাটিতে ওই দম্পতির নামে তৈরি করা হচ্ছে লাভ পয়েন্ট স্পট। যেখানে নতুন প্রজন্ম ও তরুণ-তরুণী ও নব দম্পতিদের জন্য আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন