রাঙামাটির কাউখালীতে আ’লীগ ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলা, গাড়িতে আগুন, গুলিবিদ্ধ-১ এলাকাবাসীর ধাওয়া
আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
হরতালে রাঙামাটি রানীর হাটের সরকারদলীয় ছাত্রলীগ নেতা মিলটনের ভাইয়ের যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিক্সাকে আটক করার অভিযোগে রাঙামাটি কাউখালী উপজেলাধীন বেতছড়ির পাইন বাগান এলাকায় বসতঘরে হামলার পাশাপাশি নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে সরকারদলীয় হরতাল বিরোধীরা। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সরকারদলীয়দের দুইটি মোটর সাইকেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশের প্রচেষ্টায় সরকারদলীয়রা রানীরহাট সড়ক দিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে, মঙ্গলবার সকালে রাঙ্গুনিয়া থানার সরকারদলীয় নেতা মিলটনের ভাইকে একটি সিএনজি অটোরিক্সাসহ আটক করে হরতাল সমর্থকরা। পরে তাকে ছেড়েও দেয়া হয়। কিন্তু বিকেলে হঠাৎ করেই চারটি মোটর সাইকেল ও একটি সিএনজি অটোরিক্সাযোগে সরকারদলীয় একদল সন্ত্রাসী বেতছড়ির পাইন বাগান এলাকায় এসে বেশ কয়েকজন হরতাল সমর্থকের নাম ধরে ডাকা-ডাকি করতে করতে নির্বিচারে গুলি করতে থাকে উপরের দিকে। এই ঘটনায় আতংকিত এলাকাবাসি সংগঠিত হয়ে সংঘবদ্ধ হতে থাকলে সরকারদলীয়রা পিছু হটতে থাকে।
পরে এলাকাবাসীর ধাওয়ায় সরকারদলীয়রা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তাদের ফেলে যাওয়া একটি ও পরে আরো একটি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানায়, রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা এলাকাবাসীদেরকে লক্ষ করে নির্বিচারে গুলি চালায়। পরে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এদিকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার সময় সিএনজি অটোরিক্সাযোগে পালিয়ে যাবার সময় সরকারদলীয় দুইজনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গণধোলাই দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গিয়ে পরে সংগঠিত হয়ে এসে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় আবারো হামলা চালায় সরকারদলীয়রা। এসময় তাদের গুলিতে মোসলেম উদ্দিন (৩৫) নামে একজন নিরীহ গ্রামবাসী গুরুত্বর আহত হয়েছে। পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কাউখালী থানায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোসলেমকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।