রাঙামাটির ডিসি বাংলো পার্কের রেষ্টুরেন্ট নিয়ে ডিসি-মালিক পক্ষের দ্বন্ধ চরমে

fec-image

রাঙামাটির ডিসি বাংলো পার্কে পাইরেটস নামের একটি রেষ্টুরেন্ট পরিচালনা নিয়ে জেলা প্রশাসন ও রেষ্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে চরম দ্বন্ধ দেখা দিয়েছে। আর এ ঘটনার জের ধরে ডিসির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাঙামাটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছে রেস্টুরেন্ট মালিক পক্ষ।

রেস্টুরেন্ট মালিক পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে বলা হয়-৩-৪ বৎসর পূর্বেও ডি.সি বাংলো পার্কটি মাদকসেবীদের আড্ডার স্থান ছিলো। গত ২০১৮সালের পহেলা জানুয়ারি ডিসির অনুমতি নিয়ে এবং নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধের মাধ্যমে পাইরেটস নামীয় একটি রেস্টুরেন্ট খোলা হয়। সেখানে পর্যটকদের সুবিধার্তে কিডস জোন, সেলফি কর্ণার, ফুল ও ফলের বাগান, সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য গণ শৌচাগার, বিদ্যুত ব্যবস্থার উন্নয়ন, সোলার লাইট স্থাপন, সি.সি. ক্যামেরা দ্বারা নিরাপত্তা বেষ্টনী, পাহাড় ধ্বস নিরোধের জন্য প্রায় ৭-৮ হাজার বস্তা বালির ব্যাগ দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া, পানির মোটর স্থাপন ইত্যাদি উন্নয়নপূর্বক প্রায় ২৬,০০,০০০/-(ছাব্বিশ লক্ষ) টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

ঠিক তখনি বর্তমান জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ তার ক্ষমতার অপব্যবহারের দাপট খাটিয়ে আজ পাইরেটস রেস্টুরেন্টটির কর্তৃপক্ষের দিকে আঙ্গুল তাক করে মাদকের আত্মস্বীকৃত আড্ডাখানা নামে আখ্যায়িত করে গত ২৯/১১/২০২০ তারিখ সন্ধ্যায় শেষ কুঠারাঘাত করেন বলে অভিযোগ করা হয় লিখিত বক্তব্যে।

সেদিন ডিসি বাংলোর ৪র্থ শ্রেণীর স্টাফ জাহাঙ্গীর, বর্তমান জেলা প্রশাসক দ্বারা নব মনোনীত মসজিদের ইমাম, চায়ের দোকানী টিপুসহ মোট ৫/৬ জনকে দিয়ে মদ দিয়ে রেস্টুরেন্টের কর্মচারিদের দিয়ে একের পর হয়রানিমূলক মামলা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের হয়রানি থেকে রক্ষায় উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেছেন রেস্টুরেন্ট মালিক পক্ষের নাজনীন আনোয়ার।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে পাইরেটস রেষ্টুরেন্ট এর অপর ব্যবসায়িক পার্টনার এডভোকেট ইমরান খান উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, নাজনীন আনোয়ারের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। তাকে আমি চিনিও না। তিনি আমার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের করেছেন। আমি বা জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও করিনি।

জেলা প্রশাসক বলেন, তারা ডিসি পার্কটি লিজ নিয়েছিলেন দুই বছরের জন্য। সেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে আরো এক বছর আগে। আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করছি সরকার কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে। সরকারী সম্পদের সুরক্ষা করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। এখানকার কারো সাথে আমার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। অযথা আমাকে জড়িয়ে সম্পূর্ন বিপরীত তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন