রামুতে ফিফার অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ‘বাফুফে সেন্টার অব এক্সিলেন্স’

fec-image

কক্সবাজারে ‘বাফুফে সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ এর জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় পর্যটনের নগরী কক্সবাজারে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত জমির দলিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে প্রদান করা হয়।

‘বাফুফে সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ এর জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আলী রেজা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ‘বাফুফে’র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগ, সদস্য বিজন বড়ুয়া প্রমুখ।

জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, ‘কক্সবাজারে আর্ন্তজাতিক মানের স্টেডিয়াম ও ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ‘বাফুফে সেন্টার অব এক্সিলেন্স’। ফুটবল টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা বাফুফে অনেক আগেই নিয়েছিল। কিন্তু জমি নির্বাচন ও ছাড়পত্র না পাওয়ায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগ, সদস্য বিজন বড়ুয়া সহ কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং, কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল, রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানাল ও খুনিয়াপালং ইউনিয়নে বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য জমি খোঁজ করা হয়। সার্বিক সুযোগ-সুবিধা, যোগাযোগ-নিরাপত্তা ও বায়ু গতিবেগ এর কথা বিবেচনায় রেখে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়েনের এই জায়গাটি নির্বাচন করা হয়।’

এমপি কমল বলেন, ‘রামুতে এই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ পুরো জাতির জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। ‘বাফুফে সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ ফুটবলে আন্তর্জাতিক মান উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। সমৃদ্ধ কক্সবাজারের পর্যটন।’

‘বাফুফে’র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নে ২০ একর জায়গার ওপর নির্মিত হবে বাফুফে সেন্ট্রাল অব এক্সিলেন্স। ক্রীড়ানুরাগী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের এ জমিটি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে প্রদান করা হয়েছে। ফিফার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ৩০ কোটি টাকা পাবে ফুটবল ফেডারেশন। আগামী এক বছরের মধ্যে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দৃশ্যমান হবে ফুটবলের আধুনিক সুযোগ সুবিধার প্রতিষ্ঠান ‘বাফুফে সেন্টার অব এক্সিলেন্স।’

শিগগিরই বাফুফে সেন্ট্রাল অব এক্সিলেন্সের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান, ‘বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগ। তিনি বলেন, সোমবার (৪ জুলাই) জমির দলিল হাতে পেয়েছি। বিষয়টি ফিফাকে জানাবো হবে। শীঘ্রই এ বিষয়ে কনসালট্যান্ট কোম্পানি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।’

তিনি বলেন, ‘পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে বাফুফে সেন্ট্রাল অব এক্সিলেন্সে থাকবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত স্টেডিয়াম ও ট্রেনিংসেন্টার। এ প্রতিষ্ঠানে জাতীয় ফুটবল দল সহ বিভিন্ন বয়সভিত্তিক খেলোয়াড়দের অনুশীলনের আবাসিক ব্যবস্থা থাকবে।’

বাফুফের জমি বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আলী রেজা বলেন, ‘পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় বাফুফে সেন্ট্রাল অব এক্সিলেন্সের জন্য বরাদ্দকৃত জমির দলিল হস্তান্তর করেছে। তবে প্রজ্ঞাপনের নির্ধারিত নিয়ম মেনেই এই জমি স্থায়ীভাবে ব্যবহার করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।’

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ‘শহীদ এ টি এম জাফর আলম মাল্টিডিসিপ্লিন একাডেমি’ মাঠে অনুষ্ঠিত ‘বাফুফে সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ এর জমি হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফিফার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ডেভলপমেন্ট অফিসার প্রিন্স রুফোজ, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমীন আল পারভেজ, কক্সবাজার বিভাগীয় কর্মকর্তা (দক্ষিণ) সারোয়ার আলম, কক্সবাজার ফুটবল এসোসিয়েশন সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদি, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমা, শহীদ এ টি এম জাফর আলম মাল্টিডিসিপ্লিন একাডেমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম রহমান, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান টিপু সুলতান চৌধুরী, রামু প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, রামু প্রেসক্লাব সভাপতি নীতিশ বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ফিফা, রামু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন