রামুতে স্ত্রীর হামলায় আহত স্বামী

fec-image

\রামুতে স্বামীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে স্ত্রী। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের পূর্বপাড়া এলাকায় স্বামীর ভাড়া বাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত সুজন পাল (৩৩) মৃত মানিক লালের ছেলে। এ ঘটনায় সুজনের ভগ্নিপতি লিটন দাশও মারধরে আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন হামলার শিকার আহত সুজন পাল। থানায় দেয়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- ২০১৪ সালে সুজন পাল রামুর পূর্ব মেরংলোয়া এলাকার প্রদীপ ধরের মেয়ে প্রিয়াংকা ধরকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে প্রিয়াংকা ধর তার ভাই-মাতা-পিতার কুপরামর্শে অবাধ্য জীবন-যাপন করতে থাকে। এতে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে চলতি বছরের শুরুতে স্ত্রী প্রিয়াংকা ধর স্বামীর স্বর্ণালংকার ও দেড় লাখ টাকা নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান।

এনিয়ে সুজন পাল বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সালিশী বোর্ডে উভয় পক্ষের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ি শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) ফার্ণিচার সামগ্রী ও টাকা পরিশোধ করার সময় প্রাপ্তি স্বীকার করে স্বাক্ষর না দিয়ে উল্টো সুজন পালকে লোহার রড় দিয়ে মারধর শুরু করে প্রিয়াংকা ধর। এসময় প্রিয়াংকা ধরের বড় ভাই রুবেল ধর, মিটন ধর, পিতা প্রদীপ ধর ও মা পারুল ধর সবাই লোহার রড ও লাটি-সোটা নিয়ে সুজন পালকে মারধর শুরু করে। এসময় সুজন পালকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন তার ভগ্নিপতি লিটন দাশ (৪১)।

স্থানীয়রা গুরতর আহত সুজন পাল ও লিটন দাশকে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। খবর পেয়ে দুপুরে রামু থানার এসআই জাফর উল্লাহ ঘটনাস্থলে যান।

এসআই জাফর উল্লাহ হামলার বিষয়টি স্বীকার করে জানান- এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, প্রিয়াংকা ধর ৯ মাস পূর্বে স্বামী সুজন পালকে বটি দা দিয়ে কপালে কোপ দিয়ে আহত করেছিলেন। ফলে এ নিয়ে দুবার স্ত্রীর হামলার শিকার হলেন সুজন পাল। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আহত, রামু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন