শাকিব-বুবলি আবার একসাথে

fec-image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা বুবলির বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশের পর থেকে আলোচনার ঝড়। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের সন্তান ও সন্তানের বাবার ছবি প্রকাশ করেছেন বুবলী। সন্তানের বাবা শাকিব খান।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শাকিব ও বুবলী ১০ মিনিটের ব্যবধানে একসাথে নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন আসল ঘটনা।

ফেসবুক পোস্টে শাকিব ও বুবলি লিখেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম একটি শুভ দিনক্ষণ দেখে আমাদের সন্তানকে সবার সামনে আনতে। তবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। সেই সুখবরটি জানানোর জন্য আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। শেহজাদ খান বীর আমার ও বুবলীর সন্তান, আমাদের ছোট্ট রাজপুত্র। আমার সন্তান আমার গর্ব, আমার শক্তি। আপনাদের সবার কাছে আমাদের সন্তানের জন্য দোয়া কামনা করছি।’

এসব ঘটনার পরও শাকিব-বুবলিকে দেখা গেল রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে রোমান্টিক আবহে।

ব্যক্তিজীবনের সকল তর্ক-বিতর্ক ছাপিয়ে দুজনেই শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে শুটিংয়ে নামলেন। হোটেলের লবিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রেমময় আবহে। কারণ চলছে তপু খানের পরিচালনায় ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ ছবির রোমান্টিক গানের শুটিং।

মূলত, এই ছবিটি প্রায় ৯ মাস আটকে ছিলো দুটি গানের জন্য। মাঝে শাকিব-বুবলীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় গানটির শুটিং করা সম্ভব হচ্ছিলো না।

সূত্র বলছে, এই কাজটি উদ্ধার করার জন্যই দুজনকে কাছাকাছি করার দায়িত্ব হাতে তুলে নেন নির্মাতা তপু খান। আর কাছাকাছি হতে গেলে দুজনকেই মানতে হয়েছে কিছু শর্ত। যে শর্তে ছিলো স্ত্রী হিসেবে বুবলী আর পুত্র হিসেবে বীরকে প্রকাশ্যে মেনে নিতে হবে শাকিব খানকে। তবে বুবলীর প্রতি শাকিব খানের শর্ত কী ছিলো, সেটি স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিয়ে বা বিচ্ছেদ ইস্যুতে বুবলীর মুখ না খোলা!

ফের একসঙ্গে কাজে ফেরা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য মেলেনি দুজনের পক্ষ থেকে। এমনকি নির্মাতাও চুপ। ফলে ইউনিটে ক্যামেরার রোমান্টিক লুকের বাইরে বাস্তবের পরিবেশ কতোটা স্বস্তিকর, সেটি এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না।

পরিচালক তপু খান আগেই জানিয়েছিলেন, ‘লিডার’র সব কাজ শেষ। শুধু দুটি গানের শুটিং বাকি ছিলো। তারই শুটিং চলছে এখন। টানা দুদিন কাজ করে ক্যামেরা ক্লোজ হবে এই ছবির।

ধারণা করা হচ্ছে, শাকিব-বুবলীর এটাই শেষ ছবি।

এর আগে গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) শাকিব-বুবলী দু’জনেই জানান, তাদের সন্তান আড়াই বছরের শেহজাদ খান বীরের কথা। যা এতদিন নানা গুঞ্জনের ডাল-পালা ছড়িয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন