শেখ হাসিনার হাত ধরেই পাহাড় আলোকিত হচ্ছে: বীর বাহাদুর উশৈসিং

fec-image

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই পাহাড় আলোকিত হচ্ছে। এ অঞ্চলের ঘরে ঘরে শিক্ষা, উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়াসহ জনপদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ অনুন্নত এলাকার অন্তত ৪০ লক্ষ পরিবারে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মানিকছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন, উপকরণ হস্তান্তর ও অভিভাবক সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিটি মা-বাবা’র ভালবাসাই সন্তান আলোকিত হওয়ার সিঁড়ি। ছেলে-মেয়েকে আলাদাভাবে না দেখে সন্তান হিসেবে সমপরিমাণ ভালবাসা দিলে একজন সন্তান এই সমাজের আলোকিত করে গুণিজন হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও গাড়ীটানা উচ্চ বিদ্যালয় সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন এর সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মো. মাঈন উদ্দীন এর সঞ্চালনায় স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় অভিভাবক সমাবেশ।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম এর শুভেচ্ছা বক্তব্যে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ সদস্য এম. এ. জব্বার, খাগড়াছড়ি মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রূ চৌধুরী অপু, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, তিন পার্বত্য জেলার মহিলা সাংসদ বাসন্তী চাকমা( এমপি), খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (এমপি)।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য শাহিনা আক্তার, উপজেলঅ নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তামান্না মাহমুদ, সহকারী কশিশনার(ভূমি) রুম্পা ঘোষ, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক,মো. শহিদুল ইসলাম, ক্যয়জরী মহাজন, মো. আবুল কালাম আজাদসহ উপজেলা, জেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তব্যের আগে প্রধান অতিথি গাড়ীটানা মাদসারা, কালী মন্দির পরিদর্শন করে প্রতিষ্ঠানের জরাজীর্ণতা দেখে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে তা উন্নয়নে আওতাভুক্ত করার নির্দেশ দেন। পরে মন্ত্রী সমাবেশ স্থলে আসলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন শিক্ষার্থী ও খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এরপর মন্ত্রী অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতল বিশিষ্ট স্কুলের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী বলেন, এদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত পাহাড়ে কোন সরকার উন্নয়ন করেনি। অবহেলিত জনগোষ্ঠিকে আলোকিত করার মনমানসিকতা পূর্ববর্তী কোন সরকার দেখায়নি। তারা ওই বৃটিশ ও পাকিস্তান সরকারের নীতি অনুস্মরণ করেছিল বলেই আমরা (পাহাড়বাসী) এখনো অনেক পিছিয়ে। এটা আর হতে দেওয়া যাবে না। জনগণ আ.লীগ সরকারকে নিয়ে দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে অভিভাবক সমাবেশ শেষে উপজেলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় জেলা পরিষদ আয়োজনে ও পার্বত্যমন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দরিদ্র ও প্রশিক্ষিত নারী ও কৃষকের মাঝে সেলাই মেশিন, স্প্রে মেশিন ও ছাগল বিতরণ।

এ সময় ১০০ জনকে সেলাই মেশিন, ১০০ জনকে স্প্রে মেশিন ও উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শিশু পার্ক উন্নয়নে ৫০ লক্ষ টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন