সাফ জয়ের লক্ষ্যে নেপাল গেল সাবিনা-মারিয়ারা

fec-image

তিন বছরের বিরতির পর সাফের মঞ্চে লড়াই করতে নেপাল গেল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে দেশ ছেড়েছেন সাবিনা-মারিয়ারা। গেল আসরের ভুলত্রুটি শুধরে পরিণত দল নিয়ে ভালো খেলার লক্ষ্য লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। ভারত ও স্বাগতিক নেপালের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষকে রুখে দেয়ার প্রত্যয় সাবিনাদের।

দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। সবশেষ ২০১৯ সালে সেমিফাইনালে যাত্রা থামলেও এবার ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে নেপালে গেল গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। আগামী ৬ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এ টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসর।

এর আগে অনুষ্ঠিত ৫টি আসরেই শিরোপা জিতেছে ভারত। টুর্নামেন্টে চারবার রানার্সআপ হয়েছে নেপাল। এ ছাড়া একবার রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে এবার শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নেপাল যাচ্ছে বাংলাদেশের নারীরা।

দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘এবার আমরা যেমন আত্মবিশ্বাসী তেমনি শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের অনুপ্রেরণা সবশেষ মালয়েশিয়া সফরের সাফল্য।’ আরও বলেন, ‘আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে দলকে জিতিয়ে আনা।’ টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত ২২ গোল করা অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার আরও বলেন, ‘একজন স্ট্রাইকার হিসেবে আমার গোলক্ষুধা থাকবে। লক্ষ্য থাকবে ভালো করার।’

টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে না পারার আক্ষেপও রয়েছে বাংলাদেশের। প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য বাফুফের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দেশকে প্রস্তাব করা হলেও শেষ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত দুটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। যে কারণে মালয়েশিয়া সফরের অভিজ্ঞতাকেই আসন্ন টুর্নামেন্টে কাজে লাগানোর কথা জানিয়েছেন সাবিনা।

প্রধান কোচ গোলাম রব্বানি বলেন, নেপালগামী দলে অধিনায়ক সাবিনা ছাড়া বাকি সবাই এসেছে বয়সভিত্তিক দল থেকে। টুর্নামেন্টের জন্য ৩০ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে ৬ সপ্তাহ অনুশীলন করানো হয়েছে। মেয়েরা প্রতিদিন কঠিন অনুশীলন করেছে। প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আরব আমিরাত প্রতিশ্রুত দুটি প্রীতি ম্যাচ বাতিল করায় মালয়েশিয়া সফরের অভিজ্ঞতাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’

এবারের টুর্নামেন্টে উপমহাদেশের ৭টি নারী দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রাথমিক পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী হিসেবে আছে ভারত, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। ‘বি’ গ্রুপে স্বাগতিক নেপালের সঙ্গে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও ভুটান। টুর্নামেন্টের সব কটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে।

আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাফ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। ৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে গোলাম রব্বানীর শিষ্যরা। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। দুই গ্রুপের শীর্ষ চারটি দল সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন