সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৯টি অবৈধ রিসোর্টের নির্মাণকাজ বন্ধ, ১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিন দ্বীপ প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হওয়ায় অবৈধ ৯টি রিসোর্টের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া সমুদ্র সৈকতে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা ১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপের সমুদ্রসৈকত ও বিভিন্ন স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর সেন্টমার্টিনের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান। সাথে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম ও ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কর্মীরা।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধভাবে নির্মাণাধীন ৯টি রিসোর্টের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় কিছু কিছু স্থাপনা আংশিক গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সৈকত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১০টি বিভিন্ন অস্থায়ী দোকানের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পরে সেন্টমার্টিন দ্বীপ সৈকতে মোটর সাইকেল না চালানো, কেয়া গাছের ক্ষতি না করা, সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষা করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। এসব বিষয়ে দ্বীপে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর সেন্টমার্টিনদ্বীপের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম জানান, সেন্টমার্টিনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ দ্বীপবাসীদের নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। পরামর্শ সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ইউএনডিপির প্রতিনিধি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: রিসোর্ট, সেন্টমার্টিন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন