মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে ২ বছরেও ফিরেনি কক্সবাজারের ফয়েজ, অপেক্ষায় পরিবার
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ২ বছরেও খোঁজ নেই কক্সবাজারের আবুল ফয়েজের। অপেক্ষায় আছে পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফয়েজ মালয়েশিয়ার যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় দুই বছর চার মাস আগে। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার পশ্চিম খরুলিয়ার চেয়ারম্যান পাড়ার মৃত আবু ছৈয়দের ছেলে। গত ২ বছর আগে আবুল ফয়েজ মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে উখিয়ার পশ্চিম মরিচ্যার দালাল নুরুল আলম ও টেকনাফের শফিক এর মাধ্যমে বাড়ী থেকে বের হন। এর পর টেকনাফে অবস্থানকালীন মালয়েশিয়ায় বোটে উঠার আগে শেষ কথা হয় মা দিলদার বেগমের ও স্ত্রী শাহনাজের সাথে। এরপর থেকে আর খোঁজ নেই ছেলে আবুল ফয়েজের। অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে বাবা আবু ছৈয়দ ২০১৫ সালের মার্চে মৃত্যু বরণ করেন। আবুল ফয়েজের তিন বোন, চার ভাই, স্ত্রী, অসহায় শিশু সন্তান এবং মাকে রেখে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়র উদ্দেশে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ছেলের কোন খোঁন না পাওয়ায় পথ চেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে তার পরিবার।
ছেলে আসবে এ প্রত্যাশায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিচ্ছেন আবুলের পরিবার। ছেলে বেঁচে আছেন এই আশা নিয়ে এখনো পথ চেয়ে বসে থাকে তার মা। থাইল্যান্ড হাজত থেকে জেল খেটে আসা মহেশখালীর ইসমাইল আবুল ফয়েজের বাড়ীতে এসে তার মাকে জানান, তার ছেলে আবুল ফয়েজ থাইল্যান্ডের কুলসি থানা হাজতে রয়েছে (হাজতি নং- ২৫১ ও সিট নং ৩১১)। কিন্তু এমন কেহ নেই যে ছেলের নির্দিষ্ট খোঁজ-খবর নিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসবে। তার অসহায় পরিবার দাবি, বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তালিকাভূক্ত দুই দালালকে আটক করে ছেলে কোথায় আছে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিলে হয়তো তার ছেলে মায়ের কোলে ফিরে আসবে।
চিহ্নিত দালালেরা সক্রিয় হয়ে সাগর পথে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের মত জঘন্য অপরাধ করেও এখনো স্ব-স্ব স্থানে অবস্থান করছে। অথচ অসহায় আবুল ফয়েজের পরিবারেরা ছেলের পথ চেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনে মানবেতর জীবন যাপন করছে। একদিকে আবুল ফয়েজকে হারিয়ে তার অসহায় পরিবার দুর্বিসহ দিন-যাপন করছে। স্বামীর কথা বলতে গিয়ে স্ত্রী শাহনাজের চোখের অশ্রু গড়িয়ে এক প্রকার নির্বাক হয়ে যান। আবুল ফয়েজের বিষয়ে সরকারের তড়িৎ উদ্ধারের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অসহায় পরিবার আকুল আবেদন জানিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।