বান্দরবানে চুরির অপবাদে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন


বান্দরবানে চুরির অপবাদে দুই যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাতজনের নামে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
২৬ অক্টোবর বান্দরবান সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গোয়ালিয়াখোলা রোয়াজা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী মামলার দায়ের করেন ভুক্তভোগী বাবা আহমদ হোসেন।
অভিযুক্তরা হলেন- ১নং ইউপি সদস্য মো: শহিদুল ইসলাম (৩৬), ইছহাক (৫৮), শহিদুল ইসলাম (২৮), শাহ আলম (৬০), ওসমান (৪৫), সুজন (৩০) ও জিকু (২১)। তারা সবাই বান্দরবান সদর উপজেলার গোয়ালিয়াখোলা এলাকার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল চুয়াল্লিশ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, এক চোরকে হাত-পা বেধে মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন সদর ১নং ইউপি সদস্য মো; শহিদুল ইসলাম। সেখানে উচ্চস্বরে বলতে দেখা যায়- আর চুরি করবি বল” এদিকে বাধানো অবস্থায় চোরের হাত আঙুলের নক প্লাস (ইলেকট্রনিকস যন্ত্রাংশ) উপড়ে ফেলছেন সেই ইউপি সদস্য। শুধু তাই নয় চোরের অপবাদ দিয়ে তাকে মানসিক টর্চার করছেন তিনি। অপরজন চোরকে নক তোলার চেষ্টা করতেও দেখা গেছে। এসময় নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বান্দরবান সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চোরের উপদ্রব বাড়তে থাকে। প্রতিটি গ্রাম থেকে কখনো হাস, মুরগী আবার কখনো গ্যাসের সিলিন্ডার চুরি হয়। শুধু তাই নয় এর আগেও এই দুজন মদ্যপান করে মুরগীর চুরি করে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়। গত রবিবার
রোয়াজা পাড়া এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি দুই যুবককে চুরির অভিযোগে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার তাদেরকে এলাকার একটি চায়ের দোকানে লাঠি দিয়ে পেটানোসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালানো হয়। শুধু তাই নয় এক পর্যায়ে মেম্বার নিজেই তাদেরকে প্লাস দিয়ে নক তোলার চেষ্টা করে।
ভুক্তভোগীর বাবা ভুক্তভোগী বাবা আহমদ হোসে বলেন, কোনো প্রমাণ ছাড়াই ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার শহীদুলসহ তার সঙ্গীয় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি নিজেরা বিচারের নামে আমার ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মমভাবে নির্যাতন চালায়। তারা বিচার করার পরও আমাকে ছেলেকে থানার মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।

















