খাগড়াছড়িতে শিক্ষকের নির্যাতনে শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু, শিক্ষক পলাতক

fec-image

শিক্ষকের নির্যাতনে খাগড়াছড়ির ভূয়াছড়িস্থ বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার হেফজখানার শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আবির (৮) এর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পালিয়ে গেছে শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম।

ঘটনায় শিশুর পিতা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেছে। পুলিশ ঘাতক শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।

সোমবার (২৭ আগস্ট) ধারাবাহিকভাবে মারধরে আবির শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে সাড়ে ৭ টার দিকে তাকে প্রিন্সিপালে নির্দেশে হাফেজ আমিনুল ইসলাম শিশুটিকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারতি দাশ তাকে মৃত ঘোষনা করেন। দুষ্টুমি করার অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম তাকে মারধর করে আসছিল বলে স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায় ।

আব্দুর রহমান আবির (৮) জেলার পানছড়ি উপজেলার আইয়ুব আলী মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা মো. সারোয়ার হোসেন ও আমেনা বেগমের ছেলে।

ভূয়াছড়িস্থ বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ফরিদুর রহমান বলেন, আমি আছরের সময় বাড়িতে ছিলাম। তখন শুনলঅম আবিরকে মারধর করা হয়েছে। সে বেশি অসুস্থ বিদায় তখন আমি বলি ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। পরে আবার ফোন আসে আবির মারা গেছে। তখন হাফেজ আমিনুল ইসলামকে বলি আপনি হাসপাতালে থাকেন। এরপর ফোন দিয়েছি তখন উনার ফোনে পাওয়া যায় নি।

অভিযুক্ত শিক্ষক খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার গাছাবিল এলাকার পিসি দেলোয়ার হোসেন ( অব.) এর ছেলে।

খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পী চাকমা জানান, হাসপাতালে আনার পূর্বেই মাদ্রাসায় ছাত্রটি মারা যায়। লাশ ময়নাতদনেমশর জন্য মর্গে রয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলামে সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায় নি।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, শিশুটির শরীরে প্রাথমিকভাবে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ঘটনায় শিশুর পিতা মো. সারোয়ার হোসেন সোমবার বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেছে। শিশুটির মৃত্যুর পর থেকে ওই শিক্ষককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এখন অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, নির্যাতন, মৃত্যু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন